Search
Close this search box.

কুড়িগ্রাম জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

Kurigram

বাংলাদেশের এক অন্যতম দার্শনিক স্থান হলো কুড়িগ্রাম। কুড়িগ্রাম এর অনেক ইতিহাস রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো এর নাম। সুবিধাবঞ্চিত নিচু শ্রেণীর কিছু হিন্দু কোচদের কুড়িটি পরিবার এখানে প্রেরণ করা হয়েছিল বসতি স্থাপনে জন্য। ওই কুড়িটি কোচ পরিবারের কারণে ‘কুড়িগ্রাম’ নামকরণ হয়েছে। দর্শনীয়ও দিক থেকে কুড়িগ্রাম অনেক ভূমিকা রেখেছে। কুড়িগ্রাম এমন একটি জায়গা যেখানে রয়েছে ,অনেক দর্শনীয় স্থান। তার মধ্যে অন্যতম-

নাওডাঙ্গার জমিদার বাড়ী, চান্দামারী মসজিদ, শাহী মসজিদ, চণ্ডী মন্দির, দোলমঞ্চ মন্দির, চিলমারী বন্দর, ধরলা ব্রিজের পাড়, বঙ্গ সোনাহাট ব্রিজ,পিকনিক ষ্পট, ইত্যাদি।

কুড়িগ্রাম জেলার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সমূহ:

নাওডাঙ্গার জমিদার বাড়ি

ঐতিহাসিক এক অন্যতম স্থান হলো নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি। ভারতবর্ষ বিভক্ত হওয়ার অনেকে আগে নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন, জমিদার বাহাদুর প্রমদারঞ্চন বক্সী তার শাসন আমলে এই পরগনার অধীন ছিলো কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ী উপজেলার বিদ্যাবাগিশ নামক স্থানে। এটি নির্মিত হয় ইট, চুন, সুরকির নিপূণ গাঁথুনিতে।

বঙ্গ সোনাহাট ব্রিজ

দার্শনিক স্থান গুলোর মধ্যে একটি বঙ্গ সোনাহাট ব্রীজ। ১৮৮৭-১৮৮৭-তে ইংরেজরা তাদের সৈন্য ও রসদ চলাচলের জন্য লালমনিরহাট থেকে ভুরুঙ্গামারী হয়ে ভারতের মনিপুর রাজ্যে যাবার জন্য গোয়াহাটি পর্যন্ত যে রেল লাইন স্থাপন নl করে তারই অংশ হিসাবে সোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজ তৈরী করা হয়। এটি অবস্থিত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী সদর উপজেলা থেকে পূর্বদিকে বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়ন এ। দার্শনিক স্থান গুলোর মধ্যে একটি বঙ্গ সোনাহাট ব্রীজ। ব্রীজটি দুধকুমার নদীর উপর অবস্থিত। মুক্তিযোদ্ধের সময় ব্রীজটির কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয় দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে প্রেসিডেন্ট এরশাদ সরকারের আমলে এটি আবারও নির্মাণ করা হয়।

চান্দামারী মসজিদ

প্রাচীনকালের ঐতিহ্য মসজিদ গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম হলো চান্দামারী মসজিদ। উপজেলা সদর থেকে ৪ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এর অবস্থান। চান্দামারী মসজিদ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার রাজারহাট ইউনিয়নের চান্দামারী গ্রামের মন্ডলপাড়ায় অবস্থিত। এটি নির্মিত হয় সুলতানী আমলের আনুমানিক ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে। দর্শনীয় স্থান গুলোর অন্যতম দিক ফুটে উঠেছে এই স্থানে।

আরও পড়ুন  সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের আদ্দোপান্ত।

শাহী মসজিদ

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হলো শাহী মসজিদ। এটি অবস্থিত কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা। এই মসজিদের ঐতিহ্য বলতে ৩ টি গম্বুজ এবং ৮ টি ছোট ছোট মিনার রয়েছে। চারপাশে ৩ ফুট উচু প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত এবং মসজিদের সামনে রয়েছে একটি মনোমুগ্ধকর দীঘি।

দোলমঞ্চ মন্দির

দোলমঞ্চ মন্দির কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা সদর থেকে ৩ কিঃমিঃ পূর্বদিকে ধামশ্রেণী নামক স্থানে অবস্থিত। কুড়িগ্রাম জেলা বাস টার্মিনালে পৌঁছার পর অটো বা বাইক যোগে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এসে জিজ্ঞাস করলেই পাওয়া যাবে দোলমঞ্চ মন্দির। ঐতিহাসিক এই মন্দির সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। কুড়িগ্রাম দর্শন করলে আমরা এই ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে আরও বিস্তারত জানবেন।

ধরলা ব্রীজ

লালমনিরহাট থেকে ১১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ধরলা ব্রীজ। অনেক পুরনো এই সেতুটি পড়েছে ভারতে। ভারত থেকে বাংলাদেশ যাতায়াত ছিলো এই ব্রীজটির উপর দিয়ে। কিন্তু ধরলা নদীর ভাঙনে শুধু এই ব্রীজটি ধ্বংস হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার মানুষজন। ঐতিহাসিক এই স্থানটি এখন আর পুরোটা পাওয়া যায় না তবে অনেকটাই মনোমুগ্ধকর।

চিলমারী বন্দর

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত চিলমারী বন্দর। একটা সময় পাট বেচাকেনায় অনেক পরিচিতি ছিলো চিলমারী বন্দর। ব্রহ্মপুত্রের পার ঘেঁষেই বসতো পেটের হাট। ব্রিটিশ আমলে সেখান দিয়ে সারা বিশ্বে জাহাজ যাতায়াত করতো। নদী ভাঙ্গনের কারণে এই বন্দরটি এখন আগের মত সৌন্দর্য নেই। তবে বর্তমান সরকার এটি পুনরায় ভিত্তি স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন

চন্ডী মন্দির, কুড়িগ্রাম

চন্ডী মন্দিরটি মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়ে জমিদার রাণী সত্যবর্তী দ্বারা নির্মিত বলে একাধিক ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে এটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলা সদর থেকে ৩ কিমি পূর্বদিকে ধামশ্রেণী নামক স্থানে অবস্থিত। মন্দিরটি দেখতে অনেকটা কালীমন্দিরের ন্যায় ।

আরও পড়ুন  বরিশাল জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

ভেতরবন্দ জমিদার বাড়ি

ভেতরবন্দ জমিদার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে নাগেশ্বরী উপজেলায় অবস্থিত। ইংরেজ শাসনামলে রাজশাহী ছিল ভেতরবন্দ পরগণার সদর দপ্তর। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর নাগেশ্বরী উপজেলার ভেতরবন্দ গ্রামে এই পরগণার সদর দপ্তর স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে জমিদার বাড়িটি ভেতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় হিসাবে পরিচালনা করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top