Search
Close this search box.

নতুন কারিকুলামে প্রতি বিষয় পাঁচ ঘণ্টার ফাইনাল পরীক্ষা, চার ঘন্টার ব্যবহারিক ও এক ঘন্টা লিখিত পরীক্ষা হবে

এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র

নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত মূল্যায়ন নিয়ে তুমুল সমালোচনার পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে এই খসড়া তৈরি

খসড়া মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রতিটি বিষয়ে মিড টার্ম ও বার্ষিক চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। পাঁচ ঘণ্টায় হবে এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষাও। পাবলিক পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির এই পরীক্ষা হবে নিজ নিজ স্কুলে। সকাল ১০টা থেকে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া বা পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মাঝখানে এক ঘণ্টার বিরতি থাকবে।

প্রতিটি শিক্ষার্থীর পাঁচ ঘণ্টায় ছয়টি সেশন হবে চার ঘণ্টা ব্যবহারিক। প্রথমে ওরিয়েন্টেশন দেওয়া হবে। এই সেশনে একজন শিক্ষার্থীর দলগতভাবে কাজ করতে হবে, আবার প্রত্যেককে এককভাবে ব্যবহারিক কাজ করতে হবে। মূল্যায়নকারী/শিক্ষকদের কাছে তাদের পারদর্শিতা দেখাতে হবে। শেষ ১ ঘণ্টা তত্ত্বীয় পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষার উত্তরপত্র মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানো হবে।

মিডটার্ম ও বার্ষিক চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলোর সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। এছাড়া ধারাবাহিক মূল্যায়ন নতুন কারিকুলামের আলোকে চলবে। পরীক্ষার জন্য মার্কিং সিস্টেম থাকবে না। মূল্যায়নকারীরা ফলাফলকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করবে (রিপোর্টিং ভালো, অর্জনের পথে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে)। চতুর্থ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছরের জন্য মিডটার্ম এবং ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি শিক্ষার্থীদের শুধু চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। আগামী জুন মাস থেকেই স্কুলগুলো এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করবে।

আরও পড়ুন  আধুনিক বাংলা বানানের ৫টি নিয়ম

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top