বিভিন্ন সময়ে হ্যাকাররা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আক্রমণ করে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়। কখনও কখনও আবার চুরি করা এসব তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করে দেয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবশ্য এমনটি ঘটে না। কিন্তু কথা হল ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন চুরি করা তথ্য দিয়ে হ্যাকাররা আসলে কি করে? এক কথায় বললে, হ্যাকাররা এই তথ্যগুলো বেচে দেয় সাইবার ক্রিমিনালদের কালোবাজারে। এ বছরের শুরুতে প্রকাশিত আমেরিকান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘র্যান্ড’ কর্পোরেশনের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, হ্যাকারদের বাজারটি খুবই সূক্ষ্মভাবে সাজানো। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে হ্যাকার মার্কেটে ব্যবসা অবৈধ মাদক ব্যবসার থেকেও বেশী লাভজনক। হ্যাকাররা তাদের চুরি করা ডাটাগুলো অবৈধ কেনাবেচার সাইটে মোটা টাকায় বেচে দেয়। আর এখানেই তাদের কাজ শেষ।
রাউটার থেকেও হ্যাকাররা আপনার তথ্য চুরি করতে পারে
হ্যাকাররা যে কোনো মুহূর্তে আপনার ডিভাইস হ্যাক করতে পারে। ব্যক্তিগত সব তথ্য চুরি করে নিতে পারে। কিন্তু জানেন কি, আপনার ঘরের ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমেও হ্যাকার আপনার সব তথ্য জেনে যেতে পারে? সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম অ্যাপল, উইন্ডোজ এবং সফটওয়্যার, গুগল ক্রোম, মোজিলা ইত্যাদির মতো সর্বাধিক ব্যবহৃত সফটওয়্যার এবং ডিভাইসগুলোর ত্রুটি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
টিপি-লিঙ্কড রাউটারগুলোতে সিকিউরিটি নিয়ে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। এতে বিভিন্ন আন-অথরাইজ কোডকে সিস্টেমে অনুমতি দেওয়া হয়। ওয়াই-ফাই রাউটার একটি ডিভাইস যা ইন্টারনেট প্রদানকারীর সঙ্গে সংযোগ করে এবং বাড়িতে বা অফিসে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যেমন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট ব্যবহার না করেই ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ করা যায়।
নিয়মিত রাউটার রিবুট করুন। রিবুটিং সম্ভাব্য ম্যালওয়্যার পরিষ্কার করতে এবং নেটওয়ার্ক রিফ্রেশ করতে সাহায্য করতে পারে। রাউটারটি পর্যায়ক্রমে রিবুট করতে হবে ম্যানুয়ালি বা একটি নির্ধারিত সময় টাইম সেট করে।