Search
Close this search box.

রমজানের রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব

পবিত্র রমজানের রোজার রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক। মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা রমজান মাসের রোজা পালনের পুরস্কার নিজ হাতে দিবেন। আল্লাহ্‌ পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন_ “রোজা শুধু আমার জন্য আর আমি নিজে এর প্রতিদান দিব”। এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি রোজার গুরুত্ব অপরিসীম।

রমজান একটি পবিত্র মাস। রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিম মহান আল্লাহ্‌র ভয়ে সুবেহ সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, খারপ কাজ থেকে বিরত থেকে এক আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখেন। আর মহান আল্লাহ্‌ এর প্রতিদান জান্নাত দিবেন।

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব

 

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিস ও কুরআনের আলোকে ব্যাখ্যাঃ

রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘…সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস (রমজান) পাবে, সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ওজর বা অসুস্থতা ছাড়া রমজানের একটি রোজা পরিত্যাগ করবে— সে যদি ওই রোজার পরিবর্তে আজীবন রোজা রাখে তবু ওই এক রোজার ক্ষতিপূরণ হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭২৩)

এখান থেকে আমরা রোজার কিছুটা গুরুত্ব বুঝতে পারি। এছাড়াও রোজার আরও অনেক গুরুত্ব ও ফজলত রয়েছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন  রোজার নিয়ত সেহরি ও ইফতারের দোয়া

রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে হাদিস ও কুরআন

 

রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কসম! মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমজান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনরা এ মাসে (সারা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনিমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৮৩৬৮)

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বনকারী হতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)

রাসুল (সা.) বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের প্রত্যেক দিন ও রাতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দোয়া কবুল করেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৭৪৫০)

হাদিসে আছে, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না : রোজাদারের দোয়া, ইফতার পর্যন্ত। ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া। মজলুমের দোয়া।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৩৪২৮)

সর্বশেষ, এসকল হাদিস ও কুরআনের আয়াত থেকে বুঝা যায় রোজার গুরুত্ব ও ফজিলতের কোন শেষ নেই। মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের রমজান মাসের সকল রোজা পালনের তৌফিক দান করুন।

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top