কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। চট্টগ্রাম নগরীতে এতদিন পশু বেচা-বিক্রি না হলেও গতকাল শনিবার থেকে জমে উঠেছে হাটগুলো। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর প্রতিটি পশুর হাট। দিনের বেলা ক্রেতার সংখ্যা কম থাকলেও বিকাল নাগাদ বাড়তে থাকে ক্রেতা। সন্ধ্যা পেরোনোর পরই শনিবার ক্রেতাদের ঢল নামে প্রতিটি হাটে। বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, শুরুর দিকে হাটে ক্রেতাদের আনাগোনা কম ছিল। তবে শুক্র ও শনিবার বেচা-বিক্রি বেড়েছে। শেষ মুহূর্তে হাট জমায় আশার আলো দেখছেন গরু ব্যবসায়ীরা।
তবে বাজারে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত থাকলেও চড়া দামের কারণে অনেক শহুরে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা ছুটছেন গ্রামে। আশেপাশের শহরতলীতে দাম কিছুটা হলেও কম থাকায় এ ধরনের আগ্রহ অনেকের। এসব ক্রেতার পছন্দ মাঝারি আকারের পশু। সামিউল ইসলাম নামের এক চাকরিজীবী আমাদের সময়কে বলেন, আনোয়ারা উপজেলার মালঘর বাজার শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে এক লাখ ১৪ হাজার টাকায় যে গরু কিনেছি সে ধরনের গরু শহরে কিনতে গেলে আরও ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত গুনতে হতো। ত্যাগের মহিমার সঙ্গে পকেটের সামর্থ্য মেলানো অনেক কঠিন।
আর এইদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপার ইউনুস ব্যাপারী। রাজধানীর হাটে তুলেছেন ২২টা গরু। প্রতিটা গরু মাঝারি মানের। দাম ১ লাখ ১০ থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। এর মধ্যে ১৭টি গরু বিক্রি করেছেন সীমিত লাভে। ৫টা গরুর দাম বাড়তি হাঁকছেন তিনি।
এভাবেই হঠাৎ করে বেড়েছে গরুর দাম। গরুর তুলনায় ক্রেতাও বেড়েছে হাটে। এই সুযোগে গরুর বাড়তি দাম হাঁকছেন ব্যাপারীরা।
শনিবার থেকে গরুপ্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।
রোববার (১৬ জুন) মোহাম্মদপুর বছিলাসহ কয়েকটি হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ৩ মণ মাংস মিলবে না এমন গরুর দাম ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাঁকা হচ্ছে।
সকালে দাম একটু কম ছিল। কিন্ত বেলা ১১টার পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে গরুর দাম। মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ হাউজিংয়ের বাসিন্দা হাজী মমিনুল মিয়া, গতকাল যে গরু এক লাখ টাকায় কেনেননি অথচ আজকে একই মানের গরু ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কিনেছেন তিনি।
দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জাবেদ ব্যাপারী বলেন,গরুর টান পড়ছে ক্রেতা বেশি। গতবার লোকসান খাইসি। এই বার কম দামে গরু কেনা যাবে না। দাম বাড়তি হাটে গরু কম কিতা বেশি।