ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কৃষি ফসলের পাশাপাশি অত্যন্ত লাভজনক মুখরোচক, রসালো, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগের উপকারি ড্রাগন ফল। এ ফল চাষে সফল ব্যক্তি উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের উদ্যানতত্তবিদ আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স (৪০)। ড্রাগন ফল চাষে জেলার একমাত্র উজ্জ্বল অনন্য দৃষ্টান্ত ও এই আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। তিনিই প্রথম জেলার বাণিজ্যকভাবে ড্রাগন ফল চাষে এক সফল ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে। ফুলবাড়িয়াউপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মরহুম হ হ র ম শহীদুজ্জামানের এক মাত্র মেয়ের জামাতা আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স নিজ উদ্যেগে তৈরি করছেন ভিয়েতনামের ড্রাগন ফলের বাগান। তিনি ৬০ শতাংশ জমিতে এই ফলের বাগান তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহন করেন। আবু বকর সিদ্দিক যেহেতু কৃষি বিভাগের একজন উদ্যানতত্ত্ববিদ সেহেতু এই ফলের জন্য কোন কোন বিষয় জানা প্রয়োজন তা জানেন। তিনি বর্তমানে কৃষি উপর পিএসডি ডিগ্রী করছেন।তার বাগানে গিয়ে দেখা যায় ড্রাগন ফলের গাছে শোভা পাচ্ছে ভিন্নদেশী এই ফল। ফলটি পাকার পর অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু। এটি ক্যান্সার, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারি। তার বাগানে বর্তমান ৬ একর জমির উপর ৩২শত ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। প্রায় সব গাছেই ফল এসেছে। ড্রাগন ফলের পাশাপাশি তার বাগানে রাজশাহির আম গাছ সহ লেবু পেঁপেঁ গাছ। আরও রয়েছে মৎস চাষ, মাছের পুকুরে রয়েছে ১৫শত দেশীয় হাস। তবে অন্যান্য চাষের চেয়ে ড্রাগন ফলের মুল্য অনেক বেশি। গত বছর তিনি প্রতি কেজি ড্রাগন ফল বিক্রয় করেছেন ৪থেকে ৫শত টাকায়।
ফুলবাড়িয়ায় হচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ
- May 3, 2024
- 9:28 am
আরো পড়ুন