ড্রপশিপিং সম্পর্কে আজকাল প্রায় সবাই পরিচিত। কোনো প্রকার মুল্ধন বিনিয়োগ না করে ঘরে বসেই এই ব্যবসা করা যায়। আজকে আমরা ড্রপশিপিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো, এছাড়াও কিভাবে এটি করবেন তার সম্পর্কেও জানাবো।
ড্রপশিপিং কী?
আপনি যখন অন্য কারো পণ্য নিজস্ব প্লাটফর্মে (প্রধানত ওয়েবসাইটে) বিভিন্ন ভাবে প্রচারণা করে কোন ক্রেতা/গ্রাহক এর সন্ধান পাবেন, তখন সেই ক্রেতা আপনার ওয়েবসাইটে অর্ডার দিবেন। অতঃপর সেই ক্রেতার অর্ডার অনুযায়ী – পণ্য বিবরণী, ডেলিভারী ঠিকানা বা প্রাপকের ঠিকানা, ইত্যাদী সব তথ্যাবলী আপনি আপনার সাপ্লায়ার বা সরবরাহকারী এর নিকটে পাঠিয়ে দিবেন। তখন সেই সরবরাহকারী আপনার অর্ডার এর তথ্যাবলী অনুযায়ী সেই ক্রেতার ডেলিভারী ঠিকানায় তার অর্ডার করা পণ্যটি সঠিকভাবে পৌঁছিয়ে দেবেন। অল্প কথায় আমি যা বুঝলাম এবং যা বোঝাতে চেয়েছি এটাই হলো ড্রপশিপিং।
ড্রপশিপিং ব্যবসা বলতে কি বোঝায়?
উপরের ড্রপশিপিং এর সংজ্ঞা বোঝার পর আপনার মনে স্বভাবতই যে প্রশ্নটি আসবে তা হলো, “ড্রপশিপিং তো বুঝলাম, তো এই ড্রপশিপিং করে আমার কিভাবে লাভ হবে?”
– আর এই প্রশ্নের উত্তরই হলো, ড্রপশিপিং ব্যবসা।
ড্রপশিপিং ব্যবসায় লাভ কোথায়?
আপনার এবং সরবরাহকারী’র মধ্যে ইতিপূর্বেই প্রত্যেকটি পণ্য এর দাম সম্বন্ধে আলোচনা বা চুক্তি করা থাকবে। আপনার সরবরাহকারী শুধু তার নির্ধারিত মূল্যটি তার কাছে রেখে অতিরিক্ত লভ্যাংশ টি আপনার কাছে পৌঁছিয়ে দেবে। এটাই হচ্ছে আপনার লাভ। আর সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি হলো ড্রপশিপিং ব্যবসা।
নিচের ছবিটিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে একটি ড্রপশিপিং ব্যবসা’র মডেল দাঁড় করিয়ে আপনি ৩০% লাভ করতে পারেন। এখনে লাভের পরিমানটা একটা উদাহরণ মাত্র।
সাধারণ ই-কমার্স শপ এবং ড্রপশিপিং এর মধ্যে প্রাথমিক পার্থক্যঃ
– ই-কমার্স শপে আপনাকে পণ্য কিনে স্টক বা স্টোর করে রাখতে হবে এবং ঐ পণ্যসমূহের ডেলিভারী করার ব্যবস্থা বা দায়ীত্বও আপনাকে নিতে হবে। তা নিজের মাধ্যমে হোক বা থার্ডপার্টি/তৃতীয় পক্ষ কারো সাহায্যে হোক।
– আর আপনি যখন ড্রপশিপিং ব্যবসা করবেন তখন আপনার যেহেতু নিজস্ব কোন পণ্য থাকবে না তাই নিজের কোনো স্টক বা স্টোর রাখতে হবে না, বা আপনার নিজের পণ্য ডেলিভারী করার চিন্তাও করতে হবে না।
ড্রপশিপিং ব্যবসার সুবিধা
– ড্রপশিপিং ব্যবসা আপনি যে দেশে থাকেন বা অবস্থান করেন সেই দেশেই করতে হবে, তা কিন্তু নয়। বরং আমাদের অঞ্চল (দক্ষিন এশিয়া, দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার) এর অনেকেই মূলতঃ অন্য দেশেই ড্রপশিপিং ব্যবসা করে থাকেন। যেমন আপনি বাংলাদেশে অবস্থান করেই ইউএসএ, কানাডা, ইইউ এর কোনো দেশে, বা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে আপনার ড্রপশিপিং ব্যবসা করতে পারেন। আর আমার মতে আসলে তা’ই অপেক্ষাকৃত চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু নিরাপদ।
– একই ভাবে আপনি ড্রপশিপিং ব্যবসা পৃথিবীর যে কোনো দেশে অবস্থান করেও পরিচালনা করতে পারেন।