Search
Close this search box.

একাদশ শ্রেণির দৈনিক পড়ার রুটিন, যেভাবে পড়বেন

একাদশ শ্রেণির দৈনিক পড়ার রুটিন

একাদশ শ্রেণি  এমন একটি সময় যে আপনি অনেক কনফিউজ হয়ে যেতে পারেন। তাই আপনি আপনার বাবা মা বা শিক্ষকের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শন নিন। এখানে একাদশ শ্রেণির দৈনিক পড়ার রুটিন নমুনা দেওয়া হয়েছে_

একাদশ শ্রেণির দৈনিক পড়ার রুটিন

সকাল (৬:০০ – ৮:০০)

  • ৬:০০: ঘুম থেকে উঠুন।
    ৬:০০ – ৬:৩০: ফজরের নামাজ ও দোয়া (২০-৩০ মিনিট)। যদি মুসলিম হোন, না হয় আপনার মন মতো একটু রিলাক্স নিন ৷
    ৬:৩০ – ৭:০০: স্ট্রেচিং ও ব্যায়াম করুন (১০-১৫ মিনিট)।
    ৭:০০ – ৭:৩০: স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশ (যেমন: ওটমিল, ফল, ডিম, বাদাম) জাতীয় কিছু হতে পারে ।
    ৭:৩০ – ৮:০০: প্রস্তুত হয়ে স্কুলে যান। নিজের মতো করে একটা সময় এদিক সেদিক করে নিতে পারেন৷

দুপুর (১২:০০ – ২:০০)

  • ১২:০০ – ১২:৩০: স্বাস্থ্যকর দুপুরের খাবার (যেমন: ভাত, মাছ, সবজি, ডাল)।
    ১২:৩০ – ১:০০: হালকা হাঁটাচলা বা বিশ্রাম। ইসলাম মতে দুপুরে একটু আরাম করা সুন্নাত এটা কি ইসলামী পরিভাষায় ক্বাইলোলা (قيلولة) বলে ৷
    ১:০০ – ২:০০: জুহরের নামাজ ও পড়াশোনা।

বিকেল (৩:০০ – ৬:০০)

  • ৩:০০ – ৪:০০: স্কুলের কাজ।
    ৪:০০ – ৪:৩০: হালকা খাবার (যেমন: ফল, বাদাম, দই)।
    ৪:৩০ – ৫:৩০: ঘরের কাজ, পড়াশোনা, বা ব্যক্তিগত কাজ।
    ৫:৩০ – ৬:০০: ব্যায়াম (যেমন: পুশ-আপ, স্কোয়াট, লংস, ওজন তোলা)।

সন্ধ্যা (৬:০০ – ৯:০০)

  • ৬:০০ – ৭:০০: স্বাস্থ্যকর রাতের খাবার (যেমন: ভাত, মাছ, সবজি, ডাল)।
    ৭:০০ – ৮:০০: পরিবারের সাথে সময় কাটানো, বই পড়া, বা হালকা বিনোদন নিতে পারেন । তবে সস্তা বিনোদন নেওয়ার জন্য ফেবু বা ওয়াইটির রিলস ভিডিও এভয়েড করে চলাই ভালো কারণ রিলস একবার চালু করলে সময় লাগে টেনে ধরতে ব্যর্থ হবেন!
    ৮:০০ – ৯:০০: রাতের ঘুমের প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন  পরিবেশ সংরক্ষণের ১০টি উপায় ও কেন করব

রাত (৯:০০ – ৬:০০)

৯:০০: ঘুমাতে যান।
রাত দশটায় ঘুমাতে পারেন কিন্তু দশটা ক্রস করা ঠিক হবে না ৷

অতিরিক্ত টিপস:

পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন এবং নিয়মিত পড়াশোনা করুন। পড়াশোনার সময় মনোযোগী থাকুন এবং নিয়মিত বিরতি নিন।
নিয়মিত পরীক্ষা দিন এবং নিজের প্রস্তুতি যাচাই করুন। প্রয়োজনে শিক্ষকের সাহায্য নিন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

বই পড়া 

চেষ্টা করুন নিয়মিত বই পড়তে। এটা আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় যে মানুষের মানসিকতা উদার হতে, মানবিক হতে, আর অজানা কে জানার একটি আগ্রহ সৃষ্টি করে দেয়। তাই চেষ্টা করুন অবসর সময় থেকে কিছুটা সময় বই পড়ার কাজে ব্যয় করুন।

দক্ষতা বাড়ানো

আপনার এখন উচিত হবে নিজের কিছু দক্ষতা বাড়ানোর কাজ করা। আপনি যে কাজটিতে ভাল সেটার পেছনে কিছু সময় ব্যয় করুন। এতে করে আপনার পরবর্তি জীবনে অনেক সহায়তা হবে। ধরুন আপনি ডিজাইন করতে পারেন, তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করুন। শিখতে পারেন ওয়েব ডেভলপমেন্ট সহ অনেক কিছু যা আপনার নিজেরই দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।

রুটিন

একটি রুটিন তৈরি করুন যা মাধ্যমে আপনার দিনের খাওয়া ঘুম সহ সব কিছুর জন্য একটি টাইম নির্দিষ্ট থাকবে। সেটা ফলো করুন। সেভাবেই নিজের সামনের দিন গুলোতে এগিয়ে যান।

নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখুন

কাউকে ফলো করতে পারেন। তবে নিজের বা নিজস্ব একটা ধারা তৈরি করুন। এখানে শচীন টেন্ডুলকারের একটি কথা বলি – আপনি কাউকে ফলো করতে পারেন, তার মত হতে চান। কিন্তু আপনার নিজস্ব একটা স্বকীয়তা থাকা উচিত। যাতে লোকে আপনাকে চিনতে পারে বা আলাদা করতে পারে।

মানবিক ও উদার হন

নিজের ভেতর একটা মানবিক স্বত্ত্বা রয়েছে। সেটাকে জাগিয়ে তুলুন। উদার মানসিকতা তৈরি করুন। সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।

আরও পড়ুন  ছয় দফা আন্দোলন গুলো কি কি? এর গুরুত্ব

সুস্থ থাকুন 

সুস্থ থাকার বিকল্প নেই। নিজের সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখুন। আপনার নিজের স্বাস্থ্য আপনার কাছে। তাই কিভাবে সুস্থ থাকা যায় সে দিকটা খেয়াল রাখুন। কথায় আছে -স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top