বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নেওয়া বিসিএসের ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সবশেষ ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে ১৪ জন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছেন। এই প্রার্থীরা এখন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গত ১২ বছরে বিসিএসসহ নন-ক্যাডার নিয়োগের অন্তত ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটির ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে। রোববার (৭ জুলাই) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল-২৪ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিএসের প্রশ্নফাঁস চক্রে পিএসসি’র অন্তত ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। এর মধ্যে বিভিন্ন ইউনিটের উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক, সাবেক সচিবের পিএসও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবি
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলহোতা পিএসসি’র অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম গণমাধ্যমটিকে জানান, ‘পিএসসি’র উপ-পরিচালক আবু জাফরের মাধ্যমে দুই কোটি টাকার বিনিময়ে রেলওয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়। পিএসসি’র একজন সদস্যের অফিসে সংরক্ষিত ট্রাঙ্ক থেকে আবু জাফর রেলওয়ের প্রশ্ন আমাকে বের করে দিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, আমি এটাও জানি ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস করা হয়।
বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কমিশনের ক্ষমতাবলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠতে পারে। সেটি প্রমাণ হতে হবে। প্রমাণ হলে, কমিশন যদি মনে করে তাহলে প্রশ্নফাঁস হওয়া বিসিএসের কার্যক্রম বাতিলও হতে পারে।’