পাত্রী সৌন্দর্যে যতই প্রসিদ্ধ হোক তবুও তাকে বিবাহের পূর্বে এক ঝলক দেখে নেওয়া উত্তম। ঘটকের চটকদার কথায় সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা না রেখে জীবন-সঙ্গিনীকে জীবন তরীতে চড়াবার পূর্বে সবচক্ষে যাচাই করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বন্ধনে মধুরতা আসে, অধিক ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। একে অপরকে দোষারোপ করা থেকে বাঁচা যায় এবং বিবাহের পর পস্তাতে হয় না।
পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্র যা দেখবে তা হল, পাত্রীর কেবল চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত হস্তদ্বয়। অন্যান্য অঙ্গ দেখা বা দেখানো বৈধ নয়। কারণ, এমনিতে কোন গম্য নারীর প্রতি দৃক্পাত করাই অবৈধ। তাই প্রয়োজনে যা বৈধ, তা হল পাত্রীর ঐ দুই অঙ্গ।
এই দর্শনের সময় পাত্রীর সাথে যেন তার বাপ বা ভাই বা কোন মাহরাম থাকে। তাকে পাত্রের সাথে একাকিনী কোন রুমে ছেড়ে দেওয়া বৈধ নয়। যদিও বিয়ের কথা পাক্কা হয়।
Table of Contents
Toggleপারিবারিক বিয়েতে পাত্রী দেখার কৌশল
১) শরীরের গঠন
শরীরের গঠন দেখা খুব প্রয়োজন। যে বা যিনি তাকে সঙ্গিনী করবেন তার পছন্দ কিনা। অথবা সমগ্র শরীরের কিছু একটা জিনিস যেটা ছেলেটির খুব পছন্দের হবে। কারণ কিছুই যদি ছেলেটার ভালো না লাগে তাহলে এগিয়ে লাভ নেই। সেই ভালো লাগা জিনিসটির জন্যে ছেলেটি বার বার কাছে আসতে চাইবে সারা জীবন ধরে। প্রত্যেক মেয়েরই কিছু ভালো জিনিস থাকে , একটা মেয়ের সব খারাপ হয়না।
২) কথা বলার ধরন
কথা বলার ভঙ্গিমা অনেক কিছু বুঝতে সাহায্য করে। কথা বলার ভঙ্গিমা দেখেই বোঝা যাবে যে সে রাগী, না ভীতু , না দাম্ভিক, নাকি খুব শান্ত। যদিও প্রথমে সবাই শান্ত ভাব ধরে রাখে কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারে না নিজের রূপেই ফিরে আসে
৩) হাঁটার ধারণ
হাঁটার ধরন বলে দেয় অনেক কথা। যে সে বুঝে পথ চলবে কি ওনার কথা ভেবে ভেবে পা ফেলবে নাকি হুরো হুরি করে ভুল পথে চলবে।
৪) লজ্জা
লজ্জা মেয়ের ভূষণ তাই লজ্জা থাকবেই এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আবার লজ্জার তারতম্য রয়েছে। অনেক ধরনের লজ্জা হয় যেমন, লোক দেখানো লজ্জা, ভুল বা ঠিক করছে কিনা সেটা ভেবে লজ্জা, প্রকৃত লজ্জা, সাময়িক লজ্জা, অজ্ঞানতার লজ্জা।
৫) শিক্ষা
আজকের যুগে শিক্ষা খুবই প্রয়োজন। শুধু পুঁথি গত শিক্ষা নয়। আজকে যে বধূ কালকে এসে মা। একটা মায়ের উপর নির্ভর করে একটা বাচ্চার জীবন ও ভবিষ্যত। তাই তার প্রকৃত শিক্ষা আছে কিনা জানা খুব দরকার বা সে নিজের বাচ্চা কে প্রাথমিক শিক্ষা দিতে পারবে কিনা সেটা জেনে নেওয়া উচিত।
৬) আচার ব্যবহার
একটা মেয়ে বিয়ে হয়ে শ্বশুর বাড়ি তে আসে অনেক কিছু নিয়ে , সেটা পন নয়। মেয়েটি সঙ্গে নিয়ে আসে তার ব্যাবহার । তাই কি রূপ তার ব্যাবহার দেখে নেওয়া উচিত।
৭) গুরুজন ভক্তি
গুরু জনে কতটা ভক্তি সেটা কথা বলার মাধ্যমে জানতে হবে। সে যদি নিজের বাবা মাকে বা গুরু জন দেরকে প্রকৃতি ভক্তি করে , তাহলে জানবে অনি শশুর শাশুড়ী কেও সন্মান করবেন।
৮) ইচ্ছা
কি হওয়ার ইচ্ছে মানুষ কে চিনতে অনেক সাহায্য করে, বলে দেয় মেয়েটি কিসে খুশি থাকবে।
৯) মেয়েটির পরিবেশ
পরিবেশ খুব জরুরী বিষয়। ভালো পরিবেশ মানেই যে সেখানে সবাই ভালো টা নয়। কিন্তু মানুষের স্বভাব চরিত্র উপর অনেক প্রভাব ফেলে পরিবেশ।
১০) বাবা মায়ের ব্যাবহার
বাবা মা ভালো হলেই যে মেয়ে ভালো হবে এই রকম কোনো কথা নেই। কিন্তু তাও এটা সত্য যে বাবা মার প্রভাব এক মেয়ের উপর অনেক ভালো চারিতিরক বৈশিষ্ট তৈরী করতে কাজে লাগে।
দেখবেন এতেই অনেক কিছু বুঝে যাবেন। এর মাধ্যমেই জানতে পারবেন মেয়েটিকে কেমন করে নিজের করে নিতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি।