ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার পাহাড়ি মাটিতে উৎপাদিত হলুদের সুনাম সারা দেশে। ইউনিয়নের মধ্যে কৈয়ারচালা, কাললাজানী, কালাদহ, বাকতা, শ্রীপুর, কাচিচুরা, সরাতিয়া, টেকিপাড়া, সন্তোষপুর, উত্তর সন্তোষপুর, কৃষ্ণপুর, রাঙামাটিয়া, হাতিলেইট, বাবুলের বাজার, দীঘলচালা, এনায়েতপুর, রাজঘাট, গোপিনাথপুর লাল মাটির গ্রামগুলোয় কৃষক সবচেয়ে বেশি হলুদ আবাদ করে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলা হলুদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে। তারমধ্যে ১ হাজার হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর হলুদের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে কাঁচা হলুদ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৭ মেট্রিক টন। কাঁচা হলুদ সিদ্ধ করার পর শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত শেষে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ মেট্রিক টন হলুদ ঘরে তুলতে পারবেন কৃষক।
কেশরগঞ্জ বাজারের হলুদ ব্যবসায়ী নাছির উদ্দিন বলেন, সারা দেশে ফুলবাড়িয়ার হলুদের চাহিদা বেশি। এখানকার হলুদ রঙে ও স্বাদে অনেক ভালো। ঝিনাইদহ, পাবনা,নাটোর, ফরিদপুর বরিশাল, সিলেট, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, চাদপুর থেকে ব্যবসায়িরা এখানে হলুদ ক্রয় করতে আসেন। এ বছর ১ কোটি টাকার হলুদ ক্রয়-বিক্রয় করব আশা করছি। মৌসুমের শুরুতে হলুদের বাজার দর মণ প্রতি প্রায় হাজার টাকা বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাকিব আল রানা বলেন, উপজেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন হয়েছে বাম্পার। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। আশা করছি চলতি মৌসুমে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন শুকনো হলুদ কৃষকের ঘরে উঠবে।