Search
Close this search box.

পটুয়াখালী জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান সমূহ

potuakhali

পটুয়াখালী হল বাংলাদেশের দক্ষিণ-মধ্য বরিশাল বিভাগের একটি জেলা । এই জেলা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের প্রধান প্রবেশদ্বার। পটুয়াখালী শহর তিনদিক দিয়ে নদী বেষ্টিত হয়েছে। দুটি প্রধান নদী হল লাউকাঠি এবং লোহালিয়া, যা সরাসরি বঙ্গোপসাগরের সাথে যুক্ত। শহরটিতে একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর রয়েছে যা সারা দেশে পরিবহন এবং ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। পটুয়াখালী জেলায় ৮ টি উপজেলা রয়েছে। পায়রা বন্দর বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। পটুয়াখালী জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তি হলেন একেএম ফজলুল হক, সোহাগ গাজী, কে এম নুরুল হুদা, নুরুল হক নুর ইত্যাদি।

পটুয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান

  • মিয়াবাড়ি মসজিদ
  • পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
  • কুয়াকাটা 
  • কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
  • কাঁকড়া দ্বীপ
  • ফাতরার বন
  • সীমা বৌদ্ধ মন্দির
  • কেরানীপাড়া
  • কালীপুর বন্দর
  • মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধ মন্দির
  • গঙ্গামতি বন

পটুয়াখালী জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান সমূহ

মিয়াবাড়ি মসজিদ

জেলার মির্জাগঞ্জের মসজিদ বাড়ি গ্রামে একটি প্রাচীন কীর্তি মসজিদ রয়েছে। মসজিদটি ১৪৮৫ সালে সুলতান মোবারক শাহের শাসনামলে খান-ই-মোয়াজ্জেম উজিয়াল খান নিয়েন করেছিলেন। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদে এখনো নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মির্জাগঞ্জে এ অঞ্চলের আধ্যাত্মিক ব্যক্তি ইয়ার উদ্দিন খলিফার সমাধি রয়েছে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে দশমিনায় অবস্থিত। ১৯৯৬ সালে সাবেক পটুয়াখালী কৃষি কলেজটিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়।

কুয়াকাটা 

কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাগরকন্যা নামে পরিচিত একটি সুন্দর স্থান। কুয়াকাটার ঠিক পূর্বে গঙ্গামতি বা গজামতি রিজার্ভ ফরেস্ট, পশ্চিমে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন, উত্তরে আলিপুর, এই অঞ্চলের বৃহত্তম মৎস্য ব্যবসা কেন্দ্র। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত দেশের অন্যান্য সমুদ্র সৈকতের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখান থেকে সমুদ্রের বুকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।

আরও পড়ুন  একনজরে চট্টগ্রাম জেলার দর্শনীয় স্থান

কুয়াকাটা নামকরণ নিয়ে একটি মজার ইতিহাস রয়েছে।   বার্মিজ (মায়ানমার) রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে, অনেক রাখাইন অজানা উদ্দেশ্যে নৌকায় করে আরাকান ত্যাগ করে। পথিমধ্যে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপের সন্ধান পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করে। সাগরের লোনা পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় তারা মিঠা পানির জন্য এখানে একটি কূপ খনন করে এই স্থানের নামকরণ করেন কুয়াকাটা।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে বলা হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। তবে তা সৈকতের দুই প্রান্ত থেকে। সমুদ্র সৈকতে গঙ্গামতীর বাঁক থেকে সূর্যোদয় দেখা যায় এবং পশ্চিম সৈকত থেকে সূর্যাস্ত দেখা যায়। সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ কিমি। সমুদ্র সৈকতের চারপাশে রয়েছে বিস্তীর্ণ নারকেল গাছ।

সমুদ্র সৈকতের পূর্ব প্রান্তে রয়েছে গঙ্গামতি খাল। এরপর গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে একটি মাছ ধরার গ্রাম রয়েছে। শুঁটকি তৈরির জন্যও রয়েছে বিশাল এলাকা। এছাড়া সারা বছরই সমুদ্র সৈকতে জেলেদের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়বে। 

 কাঁকড়া দ্বীপ

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গজমতীর বনের ওপারে লাল কাঁকড়ার দ্বীপ। ছোট এই দ্বীপে হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার বিচরণ দেখা যায়। ভ্রমণ মৌসুমে (অক্টোবর-মার্চ) স্পিডবোট কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে কাঁকড়া দ্বীপে যায়।

ফাতরার বন

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে নদীর ওপারে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন এটি ফাতরার বন নামেও পরিচিত। যদিও এই জায়গাটি হুবহু সুন্দরবনের মতো, তবে এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে কোনও বন্য প্রাণী নেই। এই বনে পাখি, বানরসহ নানা জাতের পাখি বেশি দেখা যায়। বুনো শূকর খুব কমই দেখা যায়। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হলে ইঞ্জিন চালিত নৌকা লাগবে।

আরও পড়ুন  যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

সীমা বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটার প্রাচীন কূপের সামনে সীমা বৌদ্ধ মন্দির নামে একটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। এই প্রাচীন মন্দিরে প্রায় ৩৬ মণ ওজনের আটটি ধাতু দিয়ে তৈরি একটি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে।

কেরানীপাড়া

সীমা রৌদ্ধ মন্দিরের সামনে থেকে শুরু হয়েছে রাখাইন উপজাতিদের কেরানীপাড়া গ্রাম। এখানকার রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুনন। তাদের তৈরি শীতের চাদরগুলো বেশ আকর্ষণীয়।

কালীপুর বন্দর

কুয়াকাটা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার উত্তরে আলিপুর, দক্ষিণের অন্যতম বড় মাছ ব্যবসার কেন্দ্র। এ বন্দর থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলার মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যায়। আলিপুর বন্দরে গিয়ে দেখতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছের বিশাল আয়োজন।

মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় আট কি.মি. মিসরিপাড়ায় আরেকটি বৌদ্ধ মন্দির আছে, আগে রাখাইন উপজাতিদের বাসস্থান ছিল। এই মন্দিরে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় রাখাইনদের বসতি অল্প দূরে আমখোলা পাড়ায়।

গঙ্গামতি বন

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত গঙ্গামতি খালের পূর্বদিকে শেষ হয়েছে। আর এখান থেকেই গজামতি ছেড়ে গঙ্গামতিদের সমাগম শুরু হয়েছে। বনে বিভিন্ন গাছপালা ছাড়াও দেখা যায় বন মোরগ, বানরসহ বিভিন্ন পাখি।

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top