Search
Close this search box.

বরগুনা জেলার আকর্ষণীয় ১০টি দর্শনীয় স্থান

বরগুনা জেলার দর্শনীয় স্থান 

বরগুনা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের একটি জেলা। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। বরগুনা মহকুমা ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ সালে জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। এছাড়াও বরগুনা জেলার দর্শনীয় স্থান  এর পরিমাণ ছিল উল্বলেখজজ্নাযোগ্য তবে কালের বিবর্তনে মানুষ গাছ কেটে বন উজাড় করে এখানে বসবাস শুরু করে। কাঠ ব্যবসায়ীরা এখানে বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করতে আসতো। বরগুনা জেলার ছয়টি উপজেলা, ৬টি থানা, চারটি পৌরসভা, ৪২টি ইউনিয়ন ও ৫৬০টি গ্রাম রয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে পায়রা নদী , বিষখালী নদী , খাকদন নদী, বলেশ্বর নদী। বরগুনা জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তি হলেন মোঃ আখতারুজ্জামান, মীর সাব্বির, কামারুল আহসান ইত্যাদি।

বরগুনা জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ:

 

  • লালদিয়া সমুদ্র সৈকত
  • লালদিয়া বন
  • হরিণঘাটা সমুদ্র সৈকত ও বন
  • আশার চর 
  • মোহনা পর্যটন কেন্দ্র
  • তালতলী বৌদ্ধ একাডেমী
  • টেংরাগিরি ইকোপার্ক
  • শুভ সোঁধা সমুদ্র সৈকত
  • বিবিচিনি শাহী মসজিদ
  • হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র
  • পদ্মা পর্যটন স্থান
  • সিডর সৃতি স্তম্ব
  • আছার চর
  • বিহঙ্গ দ্বীপ

বরগুনা জেলার আকর্ষণীয় ১০টি দর্শনীয় স্থান

 

লালদিয়া সমুদ্র সৈকত

বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার একেবারে দক্ষিণে একটি নির্জন সমুদ্র সৈকত রয়েছে। এই সমুদ্র সৈকতের সবার মাঝে পরিচিতি না পাওয়ার কারণে, পর্যটক নেই। এখানকার প্রধান আকর্ষণ জেলেদের ব্যস্ততা। সারা বছরই এই সৈকতে প্রচুর পাখি দেখা যায়।

 

লালদিয়া বন

লালদিয়া সমুদ্র সৈকতের পাশে লালদিয়া বন। এই অঞ্চলের প্রধান দুটি নদী বিষখালী ও বলেশ্বর বনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর ওপারে মোহনা। লালদিয়া বনের অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।

 

হরিণঘাটা সমুদ্র সৈকত ও বন

জেলা শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় হরিণঘাটা একটি জঙ্গল। এই বনে বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ গাছ রয়েছে। এ ছাড়া দেখা যায়, উটপাখি, বন্য শূকরসহ আরও অনেক বন্য প্রাণী। এর পাশেই লালদিয়া সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতে পর্যটকরা আসেন না, কারণ সবার মাঝে পরিচিতি লাভ করেনি। এছাড়া হরিণঘাটা এলাকার জেলেদের সংগ্রামী জীবনযাপন উপভোগ করতে পারবেন।

 

আরও পড়ুন  চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

 

আশার চর 

জেলার আমতলী উপজেলার একেবারে শেষ প্রান্তে বড়বগী ইউনিয়নে প্রায় ১৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি চর রয়েছে। এই চরে জেলেরা মূলত শুটকি তৈরি করে। চরের পশ্চিম পাশে পায়রা ও বিষখালী নদীর মোহনা। বিষখালির ইলিশ খুবই সুস্বাদু।

 

মোহনা পর্যটন কেন্দ্র

জেলা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে পাল বালিয়াতলী এলাকায়। পায়রা-বিশখালী নদীর মোহনার প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ‘সবুজ বরগুনা’ নামের একটি সংগঠনের কর্মীদের স্বেচ্ছাশ্রমে দৃষ্টিনন্দন একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান গড়ে উঠেছে। মূলত নদীভাঙন থেকে এ স্থানটিকে নিরাপদ রাখতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ভাঙন রোধের জন্য ফেলা ব্লকের কারণেই এই স্থানের সৃষ্টি। শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে প্রায় ৩০টি বটগাছ লাগানো হয়েছে।

 

তালতলী বৌদ্ধ একাডেমী

জেলার রাখাইন অধ্যুষিত তালতলীতে একটি বৌদ্ধ একাডেমি রয়েছে। এখানকার বৌদ্ধ মন্দিরে একটি বিশাল বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। এছাড়া জেলার আমতলীতে বেশ কয়েকটি রাখাইন বসতি রয়েছে। এখানে বসবাসকারী রাখাইন নারীরা কাপড় বুনন ও বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজ করেন।

 

টেংরাগিরি ইকোপার্ক

সুন্দরবনের বিশাল বনভূমি নিয়ে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে সোনাকাটা ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য টেংরাগিরি ইকোপার্ক। টেংরাগিরি ইকোপার্ক একটি প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য। ১২ জুলাই, ১৯৬০ তারিখে একটি সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষিত হয়েছে , বনটি বাসিন্দাদের কাছে ফাতরার বন/পাথরঘাটার বন/হরিণ ঘাটার বন ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিল। 

 

আরও পড়ুন  একনজরে শরীয়তপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

 

শুভ সোঁধা সমুদ্র সৈকত

বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়ায় অবস্থিত ঢেউ আর সমুদ্রের সবুজ ঝাউবনে ঘেরা একটি মনোরম সমুদ্র সৈকতকে বলা হয়  শুভ সোঁধা সমুদ্র সৈকত। প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর মিলনস্থলের বৈচিত্র্য বাড়িয়ে দিয়েছে। 

 

হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র

প্রাকৃতিক বন এবং সমুদ্র মিশ্রিত দক্ষিণ বরগুনা জেলায় অবস্থিত হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। এই স্থানটি সুন্দরবনের একটি অংশ। হরিণঘাটা বনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বলেশ্বর, বিষখালী ও পায়রা নদী বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। এই বনে, পাখির ডাক শোনা যায় হরিণ, বানর, শূকর এবং অন্যান্য বন্য প্রাণীর এই বনে অবাধে বিচরণ করে। অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বনটিতে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।

 

বিবিচিনি শাহী মসজিদ

বিবিচিনি শাহী মসজিদ বাংলাদেশের মুঘল স্থাপত্যের অন্যতম  নিদর্শন , বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নে একটি ছোট ঢিবির উপর নির্মিত হয়েছে। বিভিন্ন গাছে ঘেরা একটি গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি  বেতাগী উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৬৫৯ সালে, হযরত শাহ নেয়ামত উল্লাহ (রঃ) ইসলাম প্রচারের জন্য পারস্য থেকে এই অঞ্চলে আসেন। তিনি এই শাহী মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top