মাদারীপুর ঢাকা বিভাগের একটি অংশ,মধ্য বাংলাদেশের একটি জেলা। মাদারীপুর মহকুমা ১৮৫৪ সালে বাকেরগঞ্জ জেলার অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৮৭৩ সালে এটি বাকেরগঞ্জ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফরিদপুর জেলার সাথে যুক্ত হয় । মাদারীপুর মহকুমাকে ১৯৮৪ সালে একটি জেলায় পরিণত করা হয়। মাদারীপুর জেলার নামকরণ করা হয় সুফি সাধক সৈয়দ বদিউদ্দিন আহমেদ জিন্দা শাহ মাদার এর নামানুসারে।
মাদারীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ:
- শাহ মাদার (রহ.) দরগাহ শরীফ
- সুফি আমির শাহ (রহ.) এর মাজার
- আলগী কাজীবাড়ী মসজিদ – বাহাদুরপুর
- রাজা রাম মন্দির – খালিয়া
- ঝাউদি গিরি – ঝাউদি
- আউলিয়াপুর নীলকুঠি – চিলারচর
- মিঠাপুর জমিদার বাড়ি – মিঠাপুর
- প্রণব মঠ – বাজিতপুর
- মাটির বাজার মঠ – খোয়াজপুর
- খালিয়া শান্তি কেন্দ্র – খালিয়া
- পারবোতের বাগান – মস্তোফাপুর
- মাদারীপুর শকুনি লেক
- সেনাপতি দীঘি – আমড়াটোলা ও খতিয়াল
- চরমুগুরিয়া ইকো পার্ক
- নারায়ণ মন্দির – পানিচিত্র
মাদারীপুর জেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান সমূহ
পাহাড়ি বাগান
সদর উপজেলার মোস্তফাপুরে কুমার নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত ফরেস্ট ফিডিং সেন্টার। প্রায় ৭০ বছর আগে বাস বিহারী পর্বত নামে এক ব্যক্তি ২৬ একর জমির ওপর এই বাগান তৈরি করেন। বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ছাড়াও এখানে রয়েছে দীঘি।
রাজা রাম মন্দির
জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়া গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন মন্দির। মন্দিরটি সপ্তদশ শতাব্দীতে খালিয়ার বিশিষ্ট জমিদার রাজা রাম রায় নির্মাণ করেন। রামায়ণ-বৃহত্তর ভারতের গল্প এই মন্দিরের সামনে পোড়ামাটিতে বলা হয়েছে।
ঝাউদি গিরি
জেলার সদর উপজেলার ঝাউদিতে অবস্থিত প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। স্থানীয়দের মতে, মগ রাজবংশের লোকেরা এটি নির্মাণ করেছিল। প্রায় বিশ ইঞ্চি পুরু ইট- এই স্থাপনাটি সুরকির উপরে একশ ফুটেরও বেশি উঁচু। এর নির্মাণের কারণ জানা যায়নি।
আউলিয়াপুর নীল কারখানা
জেলার সদর উপজেলার চিলারচর ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের কারখানাটির নির্মাতা ছিলেন ব্রিটিশ আমলের ব্রিটিশ নীলকর ডানলপ। ১২ কক্ষের কারখানাটি এখন ধ্বংসস্তূপে। আরো আছে ৩০ ফুট উঁচু ইট-সুরকি চিমনি। এই নীল কারখানা থেকে দূরে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত গ্রাম। এখানে ফারাজি আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়তুল্লাহর অনুসারীরা মুখোমুখি যুদ্ধে নীলকর ডানলপের বাহিনীকে পরাজিত করে।
সেন পতির দিঘী
কাল কিনি উপজেলার আমড়াতলা ও খাতিয়াল গ্রামের মাঝখানে প্রায় ২৫ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে সেনাপতির দীঘি। কথিত আছে, মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে সুবাদার ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি বিশাল সৈন্যদল ঢাকা যাওয়ার পথে এখানে কিছুকাল অবস্থান করে। পানীয় জলের অভাব মেটাতে তারা এই ট্যাঙ্ক খনন করে।
চরমগুরিয়া বানর
মাদারীপুরের সদর উপজেলার চরমুগুরিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু বানরের বসবাস। বর্তমানে প্রায় চার শতাধিক বানর দুটি দলে বিভক্ত হয়ে গ্রামের দুটি স্থানে বসবাস করছে। ধারণা করা হয়, বানরের আগে এই অঞ্চলে মানুষের বসবাস ছিল। তারা গ্রামবাসীদের কোন অসুবিধার কারণ হয় না।
চরমুগুরিয়া ইকো-পার্ক
চরমুগুরিয়া ইকো-পার্ক হল বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর জেলায় অবস্থিত একটি ইকো-পার্ক । ইকো-পার্কটি মাদারীপুর জেলার মাদারীপুর সদর উপজেলার কুমারখালী মৌজার নয়াচর এলাকায় অবস্থিত।
মাদারিপুরের আলগী কাজিবাড়ি মসজিদ
এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। বহু পুরোনো ইট ও সুরকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, ঐতিহাসিক এই আলগী কাজিবাড়ি মসজিদটি। মসজিদের কাঠামো দেখলে বোঝা যায় প্রাচীন এই মসজিদটির সৌন্দর্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। এগুলো আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়।