ঢাকা থেকে বেশি দূরে নয়, অথচ জানেন না অনেকেই।যেখানে হাজার হাজার গাছের দৃষ্টিনন্দন সৃজনে রাবার বাগান আর বন্য বানরের লুকোচুরি। হ্যাঁ বলছি সন্তোষপুর রাবার বাগানেরই কথা।ভালোলাগা এই বনটির অবস্থান ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের সন্তোষপুরে।গ্রামটি ঘিরে রয়েছে বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের নিপুণ হাতে তৈরি রাবার বাগান। সবুজ বনায়ন ও প্রকৃতির সৌন্দর্য শাল-গজারি গাছ, বন্যপ্রাণী, পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ যেকোনো মানুষকে নির্মল আনন্দ দেবে। রাবার গাছ থেকে ট্রেপারদের (শ্রমিক) কষ আহরণের দৃশ্য এবং রাবার কষ থেকে রাবার উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।রাবার বাগান থেকে সংগৃহীত রাবার প্রক্রিয়াজাত করে দেশ-বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এখান থেকে বাংলাদেশ প্রচুর রাজস্ব আয় করে। বন বিভাগের অধীনে গোটা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বনবিটকে ঘিরে রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক বানর।
যেভাবে যাবেন রাবার বাগান ও বানরপল্লী
ট্রেন ও বাসযোগে যেতে পারেন। বাসে আসলে ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আলম এশিয়া পরিবহনে (লোকাল সার্ভিস) সরাসরি চলে যেতে পারেন ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদরে। ভাড়া নেবে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। এ বাস সার্ভিসে গেলে সময় একটু বেশি লাগবে। সময় বাঁচাতে চাইলে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে এনা পরিবহনে ২২০ টাকায় চলে যেতে পারবেন ময়মনসিংহের মাসকান্দা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে। সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদরে যেতে বাস বা সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ৫০ থেকে ৪০ টাকা। ফুলবাড়ীয়া উপজেলা সদর থেকে ১৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণাকুণি কেশরগঞ্জ বাজার হয়ে নাওগাঁও ইউনিয়নে সন্তোষপুর রাবার বাগান ও বনবিট। রাবার বাগান পর্যন্ত পাকা সড়ক। রাবার বাগানের অফিস থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা মাটির সড়ক পেরিয়ে বনবিট অফিস। উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ভ্যানগাড়ি নিয়ে সরাসরি যেতে পারবেন রাবার বাগান ও বনবিটে। জনপ্রতি ভাড়া ৭০ থেকে ১০০ টাকা।