Search
Close this search box.

সূরা ইখলাস বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ

সুরা ইখলাস বাংলা উচ্চারণ নিচে দেওয়া হল। নিঃসন্দেহে সুরা ইখলাস পবিত্র কুরআনে একটি শক্তিশালী সুরা। রাসুল (সা.) বলেছেন

“তিনবার সুরা ইখলাস পড়লে, তা থেকে একবার পবিত্র কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়”

পবিত্র কুরানের যেকোনো সুরা পাঠ করার আগে সেই সুরার বাংলা জানা জরুরি তবেই, নিজের মাঝে সুরা পাঠ করার তৃপ্তি পাওয়া যায়। আবার ভুল উচ্চারণের কারনে অনেক সময় সওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হয়। যার কারনে আমাদের বাংলা ভাষায় সুরা ইখলাস সহ প্রতিটি সুরার উচ্চারণ এবং অর্থ পড়া উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক সুরা ইখলাস বাংলা উচ্চারণঃ

সুরা ইখলাস বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ

(১)
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
বাংলা উচ্চারণঃ  কু’ল হুয়া ল্লা-হু আহাদ
বাংলা অর্থঃ  বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,

(২)
اللَّهُ الصَّمَدُ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হু স্‌সামাদ
বাংলা অর্থঃ আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,

(৩)
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
বাংলা উচ্চারণঃ লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইয়ুলাদ
বাংলা অর্থঃ তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি

(৪)
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
বাংলা উচ্চারণঃ ওয়া লাম ইয়াকু ল-লাহু কুফুওয়ান আহাদ!
বাংলা অর্থঃ এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

সুরা ইখলাস নিয়ে হাদিস

১. হযরত আবু হোরায়ারা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একবার রসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ তোমরা সবাই দলবদ্ধ হয়ে যাও আমি তোমাদেকে পবিত্র কোরানের এক তৃতীয়াংশ শুনাবো। তারপর সবাই একত্রিত হল এবং রসুলুল্লাহ (সাঃ) সূরা ইখলাস পাঠ করে শুনালেন। এরপর বললেন রা ইখলাস পবিত্র কোরানের এক তৃতীয়াংশ।  (মুসলিম, তিরমিযী)

২. আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস পাঠ করে তা তাকে বিপদ-আপদ ও শয়তানের খারাপই থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। – (ইবনে-কাসীর)

আরও পড়ুন  ছানা ও দরুদে ইব্রাহিম আরবি, বাংলা উচ্চারণ

৩. ওকবা ইবনে আমের (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরা বলছি, যা তওরাত, ইঞ্জীল, যবুর ও কোরআনসহ সব কিতাবেই রয়েছে। রাতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেও না, যতক্ষণ সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা (রাঃ) বলেনঃ সেদিন থেকে আমি কখনও এই আমল ছাড়িনি। – (ইবনে কাসীর)

৪. যে ব্যক্তি অধিক পরিমানে সূরা ইখলাস পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিবেন।

৫. যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস অধিক পরিমাণ পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তাঁর লাশ বহন করার জন্য ফেরেশতা হয়রত জিবরাঈল (আঃ) এর সাথে সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরন করবেন। সেই ফেরেশতারা তাঁর লাশ বহন করবে এবং জানাজায় শরিক হবে।

৬. রাসুল (সাঃ) এর সময় একবার এক এলাকার একজন ইমাম সাহেবের নামে বিচার আসলো। বিচারের দাবী ছিল যে সেই সাহাবী প্রতি ওয়াক্ত নামাজে শুধু সূরা ইখলাস পড়ত। এই প্রসঙ্গে সেই সাহাবীকে তিনি জিজ্ঞেস করলে সাহাবা উত্তরে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) সূরা ইখলাসে আল্লাহর পরিচয় বর্ণিত আছে এ কারণে এ সূরাকে আমি অনেক ভালবাসি। তাই আমি সব নামাজে এই সূরা পড়ি।

এই কথা শুনে আল্লাহ রাসুল (সাঃ) কিছু বলার আগেই আল্লাহ বলে পাঠালেন যে শুধু তার সূরা ইখলাসের প্রতি এই ভালবাসাই তার জন্য জান্নাত নিশ্চত করে দিয়েছে।

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top