Search
Close this search box.

সুস্থ থাকার জন্য কলা,বাদাম ও কিশমিশ কেন খাবেন?

food

শরীর সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে ডায়েটের উপর। খাবার ঠিকঠাক না পেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। আর তা থেকেই তৈরি হবে নানা বিপত্তি। এখনকার লাইফস্টাইলে আমরা সবাই ব্যস্ত। দিন-রাত ছুটে চলেছি। ফলে কোন সময়ে কী খাবেন তার দিকে তেমন নজর দেওয়া হয় না। ক্ষুধা পেলে হাতের সামনে যা পাওয়া যায় তাই খেয়ে নিই আমরা। এরপর শুরু হয় গ্যাস-অম্বল, হজম না হওয়ার মতো নানাবিধ সমস্যা।

পুষ্টিবিদরা অবশ্য সকাল শুরু করতে বলেন স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে। কেউ সকালে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন, আবার কেউ বলেন খালি পেটে কিশমিশ বা কলা খেতে। পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জল দিয়ে সকাল শুরু করা উচিত। পেট পরিষ্কার হওয়ার পরই জল পান করুন। এতে কোন প্রকার ভেষজ বা গৃহস্থালীর জিনিস যোগ করা উচিত নয়।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে উঠে ২০ মিনিটের মধ্যে একটা কলা, বাদাম বা কিশমিশ খেতে হবে। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কী খাওয়া উচিত, তা মূলত নির্ভর করছে আপনার শরীর এবং শরীরিক সমস্য়ার উপর।

সকালে খালি পেটে কলা কারা খাবেন: যাদের বদহজম, গ্যাস, পেট ফুলে যাওয়া, খাবার খাওয়ার পর মুখে টক অনুভূত হলে তাদের দিন শুরু করা উচিত কলা খেয়ে। মনে রাখবেন কলা যেন তরতাজা হয়। কলা যদি আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে আপনি যে কোনো মৌসুমি ফল খেতে পারেন।

কারা সকালে বাদাম খাবেন: যারা ডায়াবেটিসের শিকার, দুর্বল দৃষ্টি, রুক্ষ ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন তাদের খালি পেটে বাদাম খাওয়া শুরু করা উচিত। একটি পাত্রে ৩-৪টি বাদাম সারারাত ভিজিয়ে ঢেকে রাখুন। বাদামের খোসা ছাড়িয়ে পরদিন সকালে খেয়ে নিন।

কারা খালি পেটে কিশমিশ খাবেন: আপনার যদি কম হিমোগ্লোবিন, পিএমএস, গ্যাস, মুড সুইং-এর সমস্যা থাকে, তাহলে জলে ভেজানো কালো কিশমিশ দিয়ে দিন শুরু করুন। এর জন্য ছয়-সাতটি কিশমিশ সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে ঢেকে রাখুন। সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।

আরও পড়ুন  স্বাস্থ্যকর ঝটপট সহজ ইফতার রেসিপি

ফল খাওয়ার পর কখন টিফিন করবেন: আপনি যদি যোগব্যায়াম বা ওয়ার্কআউট করেন তাহলে এই খাবারগুলো খেয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। প্রয়োজনে খালি পেটে বাদাম, কিশমিশ বা কলা খাওয়ার এক ঘন্টার মধ্য়ে ব্রেকফাস্ট সেরে ফলতে পারেন। তবে থাইরয়েডের ওষুধ যারা খান, তারা খাবার খাওয়ার পরই খাবেন।

বাদাম ভিজিয়ে খাবেন কেন: বাদাম ভিজিয়ে খেলে পুষ্টি সহজ হয় এবং এতে উপস্থিত ফাইটিক অ্যাসিড কম হয়। এই অ্যাসিড জিঙ্ক এবং অন্যান্য পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়।

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top