মানুষের চলাচল, কথা-বার্তা, খাওয়া ইত্যাদি সবকিছুতেই ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে থাকে। আপনার পোশাক পরিধানের ধরণও ব্যক্তিত্ব বিষয়ে অনেক কিছুই বলে। সেসকল বিষয়কে কেন্দ্র করেই জানা যায় যে, হাঁটার ধরন এর মাঝেও মানুষের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে।
কেউ জোরে হাঁটতে পছন্দ করে কেউ আবার ধীরে ধীরে চলে আবার কেউ বা আওয়াজ করে হাঁটতে পছন্দ করে। আসুন জেনে নেয়া যাক আপনার হাঁটার ধরণ আপনার কোন ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলছে-
১) ধীরে ধীরে হাঁটা:
ধীরে ধীরে হাঁটা মানে এই নয় যে, তারা পা গুণে গুণে হাঁটে। আসলে এরা খুব সচেতন স্বভাবের হয়ে থাকে। এসকল মানুষেরা মানুষের সাথে মিশতে কিছুটা লজ্জাবোধ করে এবং সবার সাথে তেমন মিশ্তে পছন্দ করে না।
২) স্বাভাবিক হাঁটে:
যারা স্বাভাবিকভাবে হাঁটে তারা মূলত একইসাথে একাধিক কাজ করতে পারে। তারা খুব শক্তভাবে যেকোনো অবস্থা হ্যান্ডেল করতে পারে। এরকম মানুষেরা চায়, তার আশেপাশের মানুষেরাও যেন একইরকম পরিশ্রমী স্বভাবের হয়।
৩) জোরে জোরে হাঁটা:
যারা মাটিতে জোরে জোরে পা রেখে হাঁটে তারা মুলত শর্ট টেম্পার হয়ে থাকে। তাদের শরীরের ওজনের কারণে কিন্তু আওয়াজ জোরে হয় না, তারা আসলে মাটি কাঁপিয়ে হাঁটতে পছন্দ করে। আর এরকম স্বভাবের মানুষ অনেক দাম্ভিক হয় এবং তারা সহজেই রেগে যায়।
৪) পা ঘষে ঘষে হাঁটা:
হাঁটার সময় যারা পা মাটিতে ঘষা দিয়ে আওয়াজ করে হাঁটে, আমরা তাদের অপছন্দ করি। এটা খুব বিরক্তিকরও লাগে। এতে বুঝা যায় তার মাঝে শক্তির অভাব, জীবনে কিছুটা দুঃখের ছায়া থাকার পাশাপাশি এরা সবসময় চিন্তার মাঝে ডুবে থাকে। এদের জীবন থেকে কখনও স্ট্রেস দূর হয় না।
৫) চিন্তা করে করে হাঁটা:
এরা হল সেসকল ব্যক্তি যারা নিজের চিন্তায় মগ্ন থাকে। এরা কোনও ধরণের আওয়াজ শুনতে পায় না এবং তাদের কোনকিছু বিরক্ত করতে পারে না। এরা হাঁটার সময়ও নিজেদের স্বপ্নের দুনিয়ায় হারিয়ে থাকে। এতে বুঝা যায়, এরা অনেক বেশি চিন্তা করে।
৬) আস্তে ও আওয়াজবিহীন হাঁটা:
এই ধরণের মানুষ নিজের কন্ডিশনে চলতে পছন্দ করে। তারা কথাবার্তা বলতে পছন্দ করে এবং সবার সাথে মিশতে ভালবাসে।