থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলেও বেশিরভাগ সময় তা অবহেলিতই থেকে যায়। প্রজাপতির মতো আকৃতির এই গ্রন্থিটি শরীরের বিপাকক্রিয়া, হজম, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং শক্তির ব্যবস্থাপনা সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখে। থাইরয়েডের সমস্যাগুলো চিকিৎসায় সম্পূর্ণ নির্মূল করা না গেলেও সঠিক খাবারের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ভবিষ্যৎ নির্ভরশীলতা কমিয়ে এখনই ঘরোয়া উপায়গুলো কাজে লাগানো জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি ঘরোয়া উপাদান যা থাইরয়েডের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করতে পারে।
১. সজনে ডাটা
সজনে ডাটা আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি শরীরের প্রদাহ হ্রাসে সহায়তা করে এবং থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনের জন্য উপকারী। নিয়মিত সজনে ডাটা খেলে শরীরের হরমোন ভারসাম্য বজায় থাকে।
২. অশ্বগন্ধা
প্রাকৃতিক অ্যাডাপ্টোজেন হিসেবে পরিচিত অশ্বগন্ধা কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং থাইরয়েড-অ্যাড্রিনাল ভারসাম্য বজায় রাখে। যাদের হাইপোথাইরয়েড সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে। তবে হাইপারথাইরয়েড রোগীদের জন্য এটি না খাওয়াই ভালো।
৩. আমলকী
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ আমলকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করা এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি হরমোনের ভারসাম্য আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
৪. জিরা
জিরা হজমশক্তি বৃদ্ধি এবং পুষ্টি শোষণে সহায়ক। থাইরয়েড হরমোন রূপান্তরের জন্য শরীরে পুষ্টির সঠিক শোষণ প্রয়োজন, যা জিরা নিশ্চিত করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জিরা পানি খাওয়া উপকারী।
৫. হলুদ
দেশীয় এই সুপারফুডটি শরীরের প্রদাহ হ্রাসে এবং লিভার কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে। টি-৪ হরমোনকে টি-৩ তে রূপান্তরের ক্ষেত্রে লিভার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, এবং এই রূপান্তরকে সক্রিয় করতে হলুদ কার্যকর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা সকালবেলা হলুদের পানি পান করার পরামর্শ দেন।