মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট কি ?
Microsoft Office এর গুরুত্ব পূর্ণ অংশ হল Microsoft Power point । একে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন বলা হয়। প্রেজেন্টেশন কথার অর্থ হল উপস্থাপন করা।
ব্যাবসায়, কর্পোরেট, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, টিচার সবার জন্য পাওয়ারপয়েন্ট গুরুত্বপূর্ন অংশ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। Presentation তৈরি করতে সফটওয়্যার হিসেবে ৯৫ ভাগ Microsoft PowerPoint ব্যবহার করে। মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট হল একটি প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম রবার্ট গ্যাসকিন্স এবং ডেনিস অস্টিন Forethought Inc নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি তৈরি করেন। মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট প্রকাশের তিন মাস পর প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করে। এটি ছিল মাইক্রোসফটের প্রথম উল্লেখযোগ্য সর্বোচ্চ মুনাফা এবং মাইক্রোসফট সিলিকন ভ্যালিতে পাওয়ারপয়েন্টের জন্য একটি নতুন ব্যবসায়িক ইউনিট স্থাপন করা হয়।
পাওয়ারপয়েন্ট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্রূপ প্রেজেন্টেশনের জন্য ভিজ্যুয়াল সরবরাহ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল, কিন্তু ব্যবসায়িক এবং এর বাইরেও অন্যান্য যোগাযোগের পরিস্থিতিতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। পাওয়ারপয়েন্টের এই ব্যাপক ব্যবহারের প্রভাব বিশ্ব জুড়ে একটি শক্তিশালী পরিবর্তন এনেছে।
মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট কেনো শিখবেন?
জেনে অবাক হবেন প্রতিদিন ৩০ মিলিয়নেরও বেশি পাওয়ারপয়েন্ট Presentation বানানো হয়,এবং তার মধ্যে ৮০% এরও বেশি হয় নিম্নমানের। PowerPoint প্রয়োজন হয় স্কুলের প্রোজেক্ট বা অফিসিয়াল কাজে প্রেসেন্টেশন দেওয়ার জন্য। ধরুন আপনি কলেজে পড়েন, কলেজ থেকে আপনাকে কোনো প্রজেক্ট দিলো। আপনি প্রোজেক্ট কমপ্লিট করার জন্য কিভাবে গোল সেট করবেন, কি কি পন্থা অবলম্বন করে কাজ করবেন সে ব্যাপারে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু ছবি বা ভিডিও পরপর স্লাইডে জুড়ে তার উপর লেখালেখি করে আপনি বাকিদের বোঝাতে পারবেন বা চাকরি করেন।
আপনাকে বস ডেকে জিজ্ঞাসা করতে পারে আপনি কিভাবে আমাদের কোম্পানির উন্নতি করতে পারেন বা কিভাবে আমাদের কোম্পানির মুনাফা বাড়াতে পারবেন। আপনি যদি মুখে বলে বোঝাতে থাকেন, সেটা সবার মাথায় নাও ঢুকতে পারে। তাছাড়া একনাগাড়ে কথা বলতে থাকলে ব্যাপারটা বোরিং হয়ে যায়। তার জন্য প্রেজেন্টেশন দিয়ে বোর্ডে ছবি বা ভিডিও সহকারে স্টেপ বাই স্টেপ বোঝালে ভালোভাবে বোঝানো যায় আর প্রশ্নকারীরাও সন্তুষ্ট হন। মূলত এসব কারণেই পাওয়ার পয়েন্ট শেখ অত্যান্ত প্রয়োজনীয়।
মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট কিভাবে শিখবেন
মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট শেখা কিছুটা জটিল কাজ তবে আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করে গেলে সহজেই শিখতে পারবেন। সর্বপ্রথম আপনাকে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট এর বেসিক ফাংশন গুলো শিখতে হবে যেমন:
১. কালার
২. কালার
৩. ফন্ট
৪. বুলেট পয়েন্ট
৫. সিম্পল স্লাইড
৬. চিত্রবহুল পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড
৭. ট্রানজিশন এবং এনিমেশন
৮. শেইপ
৯. কনট্রাস্ট ও অপ্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু
১০. পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইডে জটিলতা
এই ১০ টি বিষয়ে ভালো ধারণা থাকলে একটি উন্নতমানের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি করা যাবে। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল এর ভিডিও দেখে আপনি এগুলো খুব সহজেই শিখতে পারবেন অথবা অনেক ওয়েবসাইটে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট সম্পর্কে কোর্স পাবেন সেগুলো করেও শিখতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন যেখান থেকেই দেখেন না কেনো আপনাকে তারা শুধু বেসিক গুলোই শিখাবে।
মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট শিখে কি করবেন
মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট শিখে আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে প্রেজেন্টেশন এর দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে তবেই আপনি কাজ পাবেন। আপনি যে কাজ পারেন সেই বিষয়ে আপনার গ্রাহকদের বুঝাতে হবে আর এই বুঝানোর ব্যাপারটা আরও সুন্দর করতে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ব্যাবহার করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং জগতে উপস্থাপনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। আপনার উপস্থাপনার দক্ষতা না থাকলে আপনি কাজ পাবেন না।
অন্যদিকে আপনি যদি একটি ভালো মানের চাকরি করেন আপনাকে প্রেজেন্টেশন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আপনাকে যদি আপনার অফিসের বস কোনো একটি ডিল করতে পাঠায় তাহলে আপনি ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি কথা বলার থেকে প্রেজেন্টেশন আকারে উপস্থাপনা করলে তাদের বুঝতে সুবিধা হবে। আর এই প্রেজেন্টেশন সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করতে আপনাকে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট শিখতে হবে।
সবশেষে যারা চাকরি, ফ্রিল্যান্সিং বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছেন তাদের জন্য মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট শেখা আমার মতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একবার শিখে রাখলে আপনার চাকরির ক্ষেত্রে এটি সাহায্য করবে।