Search
Close this search box.

সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা, হাদিসের আলোকে

ভালো খেজুর চেনার উপায়

প্রতিদিন সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ইসলামের আলোকে বলা যায় খেজুর একটি পবিত্র খাবার। মহানবী (সা.) এর প্রিয় খাবারের তালিকায় খেজুর ছিল। তৎকালীন আরবে রাতে দুধের সাথে খেজুর ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া হত যা খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং মুখরোচক খাবার। এই খাবারের জন্য খলিফা ওমর (রা.) এর সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা (হাদিস অনুযায়ী) আমরা প্রায় সবাই জানি। বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানে দেখা যায় সকালে খেজুর খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে নিম্নে তার বিস্তারিত।

সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

প্রথমে আমরা জেনে নেই খেজুরে কি কি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে; খেজুরে থাকে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং ম্যাঙ্গানিজ সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। এই ফলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা :

  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
  • হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
  • ক্লান্তি দূর করে
  • হাড় ভালো রাখে
  • প্রদাহ প্রতিরোধ করে।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে

ভিজিয়ে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা:

খেজুর ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার মিলবে। এই ফল ভিজিয়ে রাখলে তাতে থাকা ট্যানিন বা ফাইটিক অ্যাসিড দূর হয়। ভিজিয়ে রাখলে খেজুর সহজে হজমযোগ্য হয়। খেজুরের আসল স্বাদ ও পুষ্টি পেতে চাইলে সেগুলো আগের রাতেই ভিজিয়ে রাখুন। বিশেষ করে দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন তাহলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যাবে, এরপর সকালে খালি পেটে খান।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে হাদিস

১) হজরত আলি (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর প্রতিদিন আহার করে, তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ নির্মূল হয়ে যায়।’ (কানজুল উম্মাল: ২৮৪৭২)২) আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘সকালে সবার আগে (খালি পেটে) (মদিনার) উঁচু ভূমির আজওয়া খেজুর খেলে তা (সর্বপ্রকার) জাদু অথবা বিষক্রিয়ার আরোগ্য হিসেবে কাজ করে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২৩৫৯২) এখানে উঁচু ভূমি বলতে বোঝানো হয়েছে মদিনার পূর্ব দিকের কয়েক মাইল দূরের কয়েকটি গ্রাম।

আরও পড়ুন  এসির বিস্ফোরণ রোধে করণীয়

৩) হজরত আলি (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর প্রতিদিন আহার করে, তার পাকস্থলীর প্রতিটি রোগ নির্মূল হয়ে যায়।’ (কানজুল উম্মাল: ২৮৪৭২)

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top