প্রিয় পাঠক আমরা লক্ষ্য করছি যে, আপনারা বড়দের রোমান্টিক গল্প পড়তে আগ্রহী হচ্ছেন। সাধারণভাবে পূর্ণবয়স বা সাবালক হলে মানুষের মাছে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তার মধ্যে রোমান্টিকতা অন্যতম। প্রাপ্ত বয়সে সবাই রোমান্টিক গল্প পড়তে বেশি ভালোবাসে। তাই, পাঠকদের কথা মাথায় রেখে আমরা বড়দের রোমান্টিক গল্প নিয়ে হাজির হলাম। এখান থেকে আপনি চাইলে সম্পূর্ণ গল্প পড়তে পারেন আবার পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।
রোমান্টিক গল্প প্রায় সবাই পছন্দ করে তবে পছন্দের গল্প খুঁজে পেতে সমস্যা হয় সবার। আর কোন চিন্তা নেই আপনি চাইলে এখান থেকে সম্পূর্ণ গল্প ডাউনলোড করে পড়তে পারেন। আজকের রোমান্টিক গল্পটির নাম ‘সিনিয়র আপুর রোমান্টিক অত্যাচার’ এই গল্পে একজন সিনিয়র এবং আরেকজন জুনিয়র এর প্রেমালাপ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বড়দের রোমান্টিক গল্প (সিনিয়র আপুর রোমান্টিক অত্যাচার)
আচ্ছা মা! নিজের মামা বাড়িতে থাকতে হবে।এতে রুম ভাড়া দেওয়ার কি আছে.??
-তোর মামা যে কতটা কৃপণ টাইপের লোক।তোর তো জানাই আছে।৪০টাকা কেজি ভালো বেগুন রেখে, ২০টাকা কেজি অল্প পোঁকা ধরা বেগুন কিনে আনে।বুঝতে পারছিস কতটা হার-কৃপণ?
কৃপণ দেখছি কিন্তু মামার মতো কৃপণ জীবনে দেখিনি! শেষে কিনা পঁচা বেগুন খাওয়া শুরু করলো?
আজ ৭ বছর পর মামার বাড়িতে পা রাখছি।দরজায় টোকা দিলো, একজন ৪০/৪৫ বয়সী লোক দরজা খুলে গলা ঝারিয়ে বলে…
-কি চাই?
মা কোনো কথা না বলেই পা ছুয়ে সালাম করলো।
আমি সালাম দিলাম, তবে দাড়িয়ে থেকেই দিয়েছি।মাথায় লম্বা ঘোমটা দিয়ে বলে
-কেমন আছো মেজো দাদা?
সঙ্গে সঙ্গেই চোখে মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।
আমাকে বুকে জোরিয়ে ধরলো, মোটেও এরজন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম।জোরিয়ে ধরে বলে…
-সেই যে নাক ঘুষি মেরে চলে গেলি।আর একটি বারও দেখতে আসলিনা কেমন আছি?
৭বছর আগে যখন মা আর মামার ভেতর জমি-জমা নিয়ে ঝগড়া হয় তখন রাগের বসে নাক বরাবর একটা ঘুষি দিয়ে মামাকে অজ্ঞান করে দিয়।
সেদিন আর বাড়িতে ঢোকার সাহস হয়নি।
একটা বন্ধুর বাড়িতেই রাতটা কাটিয়ে ছিলাম।মামা পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাকিয়ে বলল
-ছেলে তো অনেক বড় হয়ে গেছে।এখনো কি আগের মতোই দুষ্টুমি করিস নাকি?
মা বলল
-কি যে বলো না মেজো দাদা, সোহাগ অনেক ভালো একটা ছেলে।শুধু পড়ালেখায় একটু কাঁচা।
বুঝতে পারছিনা, মা প্রশংসা করছে নাকি মান-সম্মান ঢুবাতে চাইছে? চিন্তায় মাথার উকুন গুলি কিলবিল করছে।
মাথা চুলকাতে চুলকাতে মা’র দিকে কটমটিয়ে চোখ নিয়ে তাকালাম।
মা ফিক করে হেসে দিলো, আমার তাকানোতে।
মামা পান চিবুতে চিবুতে তখন বলে…
-শুনলাম ছেলে নাকি গঞ্জিকা টঞ্জিকা খায়।মানে শুদ্ধ ভাষায় যাকে গাঁজা বলে আর কি? (মামা)
৩২ পাটি দাঁত বের করে খিলখিল করে হেসে দিলো।
লজ্জায় মুখ-খানা আমার লাল হয়ে গেছে, না পারছি চোখ তুলে তাকাতে! না পারছি কোনো কথার উত্তর দিতে.!
বুঝতে বাকি রইলো না, নাক ফাটানোর প্রতিশোধটাই নিতে চাচ্ছে।তাই নিরবে সহ্য করে যাচ্ছি।
মামা ছাগলের মতো বলেই যাচ্ছে, মা’র দিকে করুন চোখে তাকালাম।মা হাতের ইশারায় বলল “তুই একটু কন্ট্রোলে থাক, রাগবি না”
-ওসব খায় না, তবে মাঝে-মাঝে দুই একটা সিগারেট খায় (মা)
মামার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়|
-বলিস কিরে? সিগারেট খায় অথচ তুই কিছুই বলিস না।ভারি! অসভ্য হয়ে গেছে তোর ছেলে।একটু চোখে চোখে রাখতে হবে। (মামা)
-আহ্ মেজো দাদা বকছো কেন? বাচ্চা মানুষ বোঝে কম।বুঝালেই সব বুঝবে। (মা)
-এই বুড়ানাতার ছেলেকে বাচ্চা বলছিস? বিয়ে দিলে তো নিজেই ৩বাচ্চার বাপ হয়ে যাবে…(এই কথা বলে মামা হো হো করে হেসে দিলো) (মামা)
-মেজো দাদা.! (মা)
-হয়েছে হয়েছে আর বলব না।মজার জন্য দুঃখিত।এই ধর চাবি।দোতলার রুমটা এখন থেকে তোদের। (মামা)
মামা ভাড়ি গলায় ঢাকলো ” মা, তানজু একটু নিচে আসো?”
আমি ভাবতে থাকলাম এই তানজু টা কে? নামটাও চেনা চেনা লাগছে যেন অনেক বছর আগে কখনো শুনেছিলাম।
রূপে গুণে ভরপুর চুলো গুলো খোঁপা করে বেণী বেঁধেছে।
বিধাতার যে এত সুন্দর বস্তু বানাতে পারে? সেটা এই মেয়েকে না দেখলে বুঝতাম না।
মামা যে “মা” বলে ডাকলো! তার মানে কি এটাই আমার নানী।এমন যুবতী নানী কিভাবে সম্ভব?
নানা কি আরেক’টা বিয়ে করে ছিলো নাকি?
আমি একটু ঝুঁকে মেয়েটার (তানুর) পা ছুঁয়ে সালাম করতে যাবো তখনি আমারটা টেনে উপরে তুললো।টগবগানো জ্বলামুখির মতো চোখ, আগুনের কুন্ডর মতো বিষ্ফরণ হচ্ছে।
ভয়ে ঢোল গিললাম.!
কানে ব্যাথা লাগছে অথচ বলার মতো কোনো ভাষা আমি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করতে পারছিনা।
-সোহাগ সালাম করছিস কেন? এটা তানজু, তোর সঙ্গে ছোট বেলা যে মেয়েটা খেলা করতো এই সেই মেয়ে.?(মা)
-কিন্তু মামা যে বলল “মা”।তার মানে তো এটা আমার নানী সেটাই বোঝা যাচ্ছে..!?(এখান দিয়ে লিখতে অনেক মজা লাগছে)
.
-আমি যেমন তোকে “বাবা/পাগল” বলে ডাকি তেমনি তোর মামাও তার মেয়েকে আদর করে “মা” ডাকে।বোঁকা ছেলে এখনো বুঝ-জ্ঞান হলো না.??(মা)
মা কথা গুলি বলে একটু খানি হাসলো।
-আপু আমার কানটা ছাড়ুন ব্যাথা লাগছে তো..!
তানু একটা হাত কোমরে রেখে বলে?
-বেশ হয়েছে কান টেনে ধরেছে।তোকে তো মেরেই ফেলতাম আমি।এত দিন পর আমাদের কথা মনে হলো তোর।এই ৭টা বছরে একটি বারও কল দেওয়ার কথা ভাবিসনি? (তানু)
-নাম্বার ছিলো না আপু।তুমি তো আমাকে নাম্বার দাও নি,,অনেক চাইছি দাও নি,,এখনো থেকে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে তার সামনে নাম হাজিরা দেবো প্রমিস..|
কানটা ছেড়ে দিয়ে ওরনা মাথায় দিয়ে মাকে সালাম করলো।আমি ব্যাগটা হাতে নিতে মামা বলল…?
-তানজু ওদের দুইটা দেখিয়ে দিয়ে আসো।সব থেকে বড় এবং সুন্দর রুম দুইটা দেখাবে..(মামা)?
৩২টা দাঁত কপাটি দেখিয়ে “হো হো” করে হেসে দিলো মামা।কি বিচ্ছিরী হাসি দিতে পারে মাইরি!
মামা না হলে আরেকটি বার ঘুষি দিয়ে দাঁত ভেঙ্গে দিতাম।
তানু(ছোট করে তানু ডাকি)হাত থেকে ব্যাগ গুলি কেরে নিয়ে বলে..
-রাখ তোর এসব নিতে হবেনা।এতটা ভাড়ি ব্যাগ তুই সহ্য করতে পারবিনা।বাচ্চা মানুষ..(তানু)
এটি গল্পের কিছুটা অংশ সম্পূর্ণ অংশ পড়তে পিডিএফ ডাউনলোড করুন।