মিডজার্নি এতদিন কেবল চোখধাঁধানো স্থিরচিত্র তৈরি করত। অবশেষে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রথম ভিডিও জেনারেশন মডেল “ভি–১” প্রকাশ করেছে, যা মাত্র কয়েক সেকেন্ডে লেখার ভিত্তিতে ছোট্ট সিনেমার ঝলক বানাতে পারবে।
কী আছে নতুন এই মডেলে?
-
দৈর্ঘ্য: শুরুতেই সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করা যাবে।
-
রেজোলিউশন ও মান: ১২৮০ × ৭২০ পিক্সেল, ২৪ ফ্রেম প্রতি সেকেন্ড যা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য যথেষ্ট।
-
শব্দ নয়, শুধু দৃশ্য: আপাতত কোনো সাউন্ড ট্র্যাক যোগ হচ্ছে না; ফোকাস শুধুই ভিজ্যুয়াল গল্পে।
-
প্রোম্পট নির্ভর: ব্যবহারকারী লিখে বোঝাতে পারবেন কেমন রঙ, আলো, অ্যাঙ্গেল বা ক্যামেরা মুভমেন্ট চান।
কারা ব্যবহার করতে পারবেন?
এখনই সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। প্রথম ধাপে প্রিমিয়াম ও প্রো গ্রাহকদের একটি ছোট দলকে আলফা সংস্করণে অ্যাক্সেস দিচ্ছে মিডজার্নি। ব্যবহারকারীদের রানিং ক্রেডিট বা “ফাস্ট আওয়ার্স” খরচ হবে, যেমনটা ইমেজ জেনারেশনে হয়।
বাজারে প্রতিযোগিতা কেন গরম?
-
ওপেনএআই সোরা, রানওয়ে জেন–২, পিকা ল্যাবস এখন সবাই দ্রুত ও টেকস্ট–টু–ভিডিও নিয়ে কাজ করছে।
-
মিডজার্নি বলছে তাদের শক্তি হলো শৈল্পিক স্টাইল আর নিখুঁত দৃশ্যমান গল্প। যারা আগে থেকেই ছবিতে মিডজার্নির স্বাক্ষর পছন্দ করেন তারাই এই ভিডিও ফর্ম্যাটে নতুন সম্ভাবনা দেখতে পাবেন।
আগামীর পরিকল্পনা
মিডজার্নি জানিয়েছে,
-
ধীরে ধীরে দৈর্ঘ্য ও রেজোলিউশন বাড়ানো হবে।
-
স্থিরচিত্র থেকে ভিডিও রূপান্তর (ইমেজ–টু–ভিডিও) ফিচার আনার কথাও ভাবছে তারা।
-
ভবিষ্যতে বেসিক সাবস্ক্রাইবারদের কাছেও ফিচারটি ধাপে ধাপে উন্মুক্ত হবে।
কেন এই খুশির খবর সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
ডিজিটাল কনটেন্টের যুগে দ্রুত, সৃজনশীল ও খরচ বাঁচানো ভিডিও তৈরির উপায় পাওয়া মানে শিক্ষা, বিজ্ঞাপন, গেমিং, এমনকি ব্যক্তিগত প্রোজেক্টেও এটি এক নতুন আইডিয়া। আর্ট ডিরেক্টর, মার্কেটার কিংবা ইউটিউব ক্রিয়েটর সবারই গল্প বলার সুযোগ বাড়বে।