তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবিতে বাংলা উচ্চারণ সহ বিস্তারিত বর্ণনা। তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে কিছু জেনে নেই_তাহাজ্জুদ নামাজ মহান আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা হওয়ার অন্যতম উপায়। মুসলিম নর-নারী ও ঈমানদারদের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম মেনে আদায় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নফল ইবাদত। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাহাজ্জুদের নামাজ নিয়মিত আদায় করতেন। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে এই নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি হাশরের দিন বিনা হিসেবে জান্নাতে যেতে পারবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবিতে, বাংলা উচ্চারণ
তাহাজ্জুদের অপর নাম হল সালাতুল লাইল। তাহাজ্জুদ অর্থ ঘুম থেকে জাগা । মহান আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে গভীর রাতে এ নামাজ আদায় করা হয় বলে একে তাহাজ্জুদ নামাজ বলা হয়। ফরজ নামাজের পর অন্যান্য সুন্নত ও নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ।
সালাতুল লাইল বা তাহাজ্জুদের নামজের কোন নির্দিষ্ট রাকাতের সংখ্যা নেই। তবে হাদিস থেকে জান যায় মহানবী (সঃ) ২ রাকাত, ৪ রাকাত,৮ রাকাত, ১২ রাকাত বা আরো বেশি পড়েছেন। তিনি বেশী পড়েছেন ৮ রাকাত। অতএব ৮ রাকাত পড়াই উত্তম। আপনি দুই রাকাত পড়লেও তাহাজ্জুদের সাওয়াব পাবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত আরবিতে
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ – اَللهُ اَكْبَر
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ
“নাওয়াইতুয়ান উছওয়াল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা , রাকাতাই ছালাতুল তাহাজ্জুদি সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”
অর্থ : আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কিবলামুখী হয়ে তাহাজ্জুদের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত করিলাম ।.. অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।
হাদিসের ঘোষনা-
মহানবী হযরত মূহাম্মমদ (সঃ) এরশাদ করেন যে,
“মহান আল্লাহ তায়াল প্রতি রাতে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় না) নেমে আসেন যখন রাত্রের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে। অতঃপর তিনি ডেকে ডেকে বলেন, তোমাদের কে আছো যে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দেব। আর কে আছো আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দেব। কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব”। (মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)।
আল্লাহ তায়ালার ঘোষনা-
(১) অবশ্য রাতে ঘুম থেকে উঠা মনকে দমিত করার জন্য খুব বেশি কার্যকর এবং সে সময়ের কুরআন পাঠ বা জিকর একেবারে যথার্থ।(সূরা আল মুজাম্মিল)
(২) তারা রাতের সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করে এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।(সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ১৭-১৮)।
(৩) আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের রবের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।(সূরা আল ফুরকান, আয়াত-৬৪)।