Search
Close this search box.

রোজার নিয়ত সেহরি ও ইফতারের দোয়া

সেহরি ও ইফতারের দোয়া

নিঃসন্দেহে পবিত্র রমজান মাস প্রত্যেক মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস। রোজার নিয়ত, সেহরি ও ইফতারের দোয়া না জানলে পবিত্র মাসটি কোন কাজে আসবে না। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। 

পবিত্র রমাজান মাস গুনাহ মাফের মাস, ইবাদতের মাস, জান্নাত লাভের মাস। রমজান মাসের ৩০টি রোজা প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য ফরজ করেছে আল্লাহ্‌। মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন, “রোজা শুধু আমার জন্য, আর এর প্রতিদান আমি নিজ হাতে দিব”। এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি রোজার গুরুত্ব অনেক। চলুন রোজার নিয়ত, সেহরি ও ইফতারের দোয়া জেনে নেই।

রোজার নিয়ত আরবি ও বাংলা  / সেহরির দোয়া 

 

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

আরবি নিয়তঃ নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম। 

বাংলা নিয়তঃ হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। আর এই রোজা রাখার জন্য সেহরি খাওয়ার প্রয়োজন হয়।সে কারণে সেহরির দোয়া বা সেহরির নিয়ত জানার জন্য মুসলমানদের বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। যদিও এটি ফরজ নয়। 
সেহরি কেউ বলেন সেহেরি আবার কেউ বলেন সাহরী। এটি আরবী শব্দ। শাব্দিক অর্থ, ঊষার পূর্বের খাবার। পারিভাষায় সেহরির অর্থ হল, ”মুসলিমদের দ্বারা গৃহীত ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার, যা রমজান মাসে বা অন্য কোন দিন (সাওম) রোজা পালনের উদ্দেশ্যে ফজরের নামাজ বা ঊষার পূর্বে গ্রহণ করা হয়। 

আরও পড়ুন  শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম ও তালিকা

 

সেহরি ও ইফতারের দোয়া

 

সেহরি না খেলে যেমন রোজা হয় না তেমনি ইফতারের সময় হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ইফতার করার নির্দেশ দিয়ে মহানবী (সা.)।

আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের রোজা এবং আহলে কিতাব তথা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সাহরি খাওয়া। (অর্থাৎ মুসলিমরা সাহরি খায় আর ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানরা সাহরি খায় না)।’ (মুসলিম, নাসাঈ)

 

সেহরির দোয়া 

 

খাবারের আগের দোয়া 

খাওয়া শুরু করার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়া পড়তেন, 

بسم الله وعلى بركةالله بعالى

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারকাতিল্লাহ

অর্থ: আল্লাহ তায়ালার নামে খানা খাওয়া শুরু করছি এবং আল্লাহ তায়ালার বরকত প্রার্থনা করছি। (সাআলাবী)।

খাবারের আগের দোয়া ভুলে গেলে যে দোয়া পড়বেন  

হাদিস শরিফে এসেছে, খানা খাওয়ার শুরুতে কেউ বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে, খাওয়ার মাঝখানে যখনই একথা মনে পড়বে, সঙ্গে সঙ্গে এই দোয়া পড়বে, 

بسم الله اوله واخره

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখেরাহ

অর্থ: আমি আল্লাহ তায়ালার নামে খানা খাওয়া শুরু করছি। প্রথমেও আল্লাহ তায়ালার নাম, পরিশষেও আল্লাহ তায়ালার নাম। (আবু দাউদ, আহমদ, দারেমী)।

 

ইফতারের দোয়া (আরবি)  

 

بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

ইফতারের দোয়ার বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

ইফতারের দোয়ার অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে  ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top