ইসলামী আইন শুধু নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত এবং ধর্মীয় সেবার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পৃথিবীর প্রতিটি কাজ ইসলামের ইবাদত ও বিধি-বিধানের সাথে সম্পর্কিত। খাওয়া-দাওয়া, হাঁটা-চলা, কাজ-কর্ম-বাণিজ্য- এসবই যদি ইসলামী পদ্ধতিতে করা হয় তাহলে মানুষের জন্য ইবাদত হবে।
উদাহরণস্বরূপ, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ অপরিহার্য। পানীয় জল জীবনের জন্যও অপরিহার্য। পানির অপর নাম জীবন। জীবন বাঁচাতে পানীয় জলের বিকল্প নেই। সব জীবের বেঁচে থাকার জন্য পানি প্রয়োজন।
পানি খাওয়ার দোয়া ও ৫ নিয়ম
পানি খাওয়ার দোয়া নির্দিষ্ট না হলেও পানি খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে চলুন তাহলে জেনে নেই,
পানি পানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা পানি পান করতে যাবে তখন প্রথমেই ‘বিসমিল্লাহ’ পড়বে।’ (তিরমিজি)
শুধু পানি পানের সময়ই নয়, বরং যে কোনো কিছু খাওয়ার সময় এবং ভালো যে কোনো কাজের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হয়।
সবসময় ডান হাতে পানি পান করা-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কখনো খাবার এবং পানীয় বাম হাতে গ্রহণ করবে না। কেননা শয়তান বাম হাতে খাবার গ্রহণ করে।’ (মুসলিম)
৩ নিঃশ্বাসে পানি পান করা-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কখনো এক নিঃশ্বাসে পানি পান করোনা। বরং তোমরা দুই কিংবা তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করো।
অনেককেই দেখা যায়, পানি পান করার সময় ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় এক নিঃশ্বাসে মগ কিংবা গ্লাসে পুরো পানি পান করে থাকে। আবার অনেকে পানিও পান করতে থাকে আর নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে। এর কোনোটিই ঠিক নয় বরং সুন্নাত বিরোধী কাজ। তাই পানি পানের সময় অল্প অল্প করে ২/৩ বারে পানি পান করা। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানেও এটি উপকারী।
গ্লাসের পানিতে নিঃশ্বাস না ছাড়া
তিবরানিতে এসেছে, ‘পানি পান কিংবা খাবার গ্রহণের সময় মুখ থেকে পানি কিংবা খাবারে নিঃশ্বাস না ছাড়া।’
পানি পানের পর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পড়া
পানি পানের পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় স্বরূপ সবসময় ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা। সুন্দর ও নিরাপদভাবে খাবার ও পানীয় গ্রহণের পর আল্লাহর প্রশংসামূলক বাক্য ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলায় তারই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।