জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঈদুল আজহার ছুটি শেষে প্রকাশ করা হবে। গত শনিবার (৩১ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলা শহরের ৮৭৯টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
সোমবার (৩ জুন) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, “ভর্তি পরীক্ষার ফল ঈদের পর প্রকাশ করা হবে। আমরা ১৫ জুনের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
পরীক্ষার পদ্ধতি ও নম্বর বণ্টন
এই ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে, যা এক ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়েছে। মেধাতালিকা প্রস্তুত করার সময় ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার জিপিএর ৪০ শতাংশ এবং এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করা হবে। এভাবে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।
পরীক্ষার কেন্দ্র ও পুনঃনির্ধারিত তারিখ
দেশের সাতটি বিভাগের মোট ৮৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষাটি ৩ মে নির্ধারিত থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ২৪ মে এবং সর্বশেষ ৩১ মে পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
বিভাগভিত্তিক কেন্দ্রের সংখ্যা:
-
ঢাকা বিভাগ: ২৪৭টি কেন্দ্র
-
খুলনা বিভাগ: ১৫৬টি কেন্দ্র
-
রাজশাহী বিভাগ: ১৪৩টি কেন্দ্র
-
চট্টগ্রাম বিভাগ: ১৩৪টি কেন্দ্র
-
রংপুর বিভাগ: ৯৬টি কেন্দ্র
-
বরিশাল বিভাগ: ৫৯টি কেন্দ্র
-
সিলেট বিভাগ: ৪৪টি কেন্দ্র
এসব কেন্দ্রের মধ্যে সরকারি কলেজের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পরীক্ষাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
ফলাফল ও ভর্তি প্রক্রিয়া
ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইনে পছন্দের কলেজ ও বিষয় নির্বাচন করতে হবে। মেধা ও আসন সংখ্যা অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, ঈদের ছুটির পর দ্রুততম সময়ে ফলাফল প্রকাশ করে পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সময়ানুবর্তিতার মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব হবে।