প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নর-নারীর উপর নামাজ পড়া ফরজ। মহান আল্লাহ্ তায়ালা মানুষ বা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছে তার ইবাদতের জন্য। দুনিয়া আখিরাতের ক্ষেত্র স্বরূপ। দুনিয়াতে যারা আল্লাহ্র আদেশ-নিশেধ মেনে চলবে আখিরাতে তারা পুরস্কার স্বরূপ জান্নাত পাবে। মহান আল্লাহ্ তায়ালা নামাজকে সকলের জন্য ফরজ করেছে আর নামাজ না পড়লে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।
নামাজ একটি ইবাদত আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য নামাজ পড়তে হবে। নামাজ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন_
“ইন্নাস-সালাতি কানাত আ‘লাল মুমিনিনা কিতাবান মাওক্বুতা।”
অর্থঃ নিশ্চয়ই নামায মুমিনদের জন্য সুনিদিষ্ট সময়ের সাথেই ফরয করা হয়েছে। (সুরা আন-নিসা, আয়াত ১০৩)
দেখে নিন নামাজ না পড়ার শাস্তি
নামাজ না পড়া পরকালে জাহান্নামে যাওয়ার কারণ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘(জাহান্নামিদের জিজ্ঞাসা করা হবে) তোমাদের কোন জিনিস সাকারে (জাহান্নাম) নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।’ (সুরা মুদ্দাসসির: ৪২-৪৩)
একবার এক স্বপ্নে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে কয়েকটি পাপের শাস্তি দেখানো হয়। উল্লেখ্য, নবী-রাসুলদের সব স্বপ্ন ওহী, অর্থাত আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য স্বপ্নঃ
ফরজ নামাজ না পড়ার শাস্তি_
একদিন সকালে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
“আজ রাতে আমার কাছে দুইজন আগন্তুক এসেছিল। তারা আমাকে বললো, আমাদের সাথে চলুন। আমি তাদের সাথে গেলাম। আমরা এমন এক লোকের কাছে পৌঁছলাম, যে চিত হয়ে শুয়ে ছিলো। অপর এক ব্যক্তি পাথর নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সে পাথর দিয়ে শুয়ে থাকা ব্যক্তির মাথায় আঘাত করছে এবং থেঁতলে দিচ্ছে। যখন সে পাথর নিক্ষেপ করছে তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। লোকটি গিয়ে পাথরটি পুনরায় তুলে নিচ্ছে। এবং তা নিয়ে ফিরে আসার সাথে সাথেই লোকটির মাথা পুনরায় পূর্বের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। সে আবার লোকটির কাছে ফিরে আসছে এবং তাকে পূর্বের মতো শাস্তি দিচ্ছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আমি আমার সংগী দুইজনকে জিজ্ঞাস করলামঃ সুবহা’ন-আল্লাহ! এরা কারা? তারা পরবর্তীতে উত্তর দেন, সে হচ্ছে এমন ব্যক্তি যারা কুরান মুখস্থ করে তা পরিত্যাগ করে এবং ফরয নামায না পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে”।
(সহীহ বুখারী, রিয়াদুস সালেহীনঃ ১৫৪৬।
1 thought on “নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে কুরআন ও হাদিস কি বলে?”
Pingback: নামাজ বা সালাত কেন গুরুত্বপূর্ন? - নিউজরুমস২৪