মানুষ এবং পরিবেশ একে অপরের উপর নির্ভরশীল। আজকে পরিবেশ সংরক্ষণের ১০টি উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমাদের চার পাশে যা কিছু আছে ( গাছ-পালা, নদি-নালা, খাল-বিল, পাহার-পর্বত, দালানকোঠা, রাস্তাঘাট ইত্যাদি) এসব নিয়েই পরিবেশ গঠিত হয়।
প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুরক্ষার মাধ্যেমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা সম্ভব। তাই আমাদের প্রত্যকের উচিত পরিবেশ সংরক্ষণ করা। কোন ক্রমেই পরিবেশ নষ্ট করা উচিৎ নয় কারণ আমরা যেমন পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের জন্য বেছে আছি তেমনি যদি পরিবেশের ক্ষতি হয় তাহলে ভবিষ্যতে মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগবে। চলুন পরিবেশ সংরক্ষনের উপায় জেনে নেই।
পরিবেশ সংরক্ষণের ১০টি উপায় লেখ
আমাদের স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রায়শই পরিবেশ সংরক্ষণের দশটি উপায় লিখতে বলা হয়। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চাকরির ভাইভা পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি অনেকবার এসেছে। তাই আপনি নিচে পরিবেশ সংরক্ষণের ১০টি উপায় পড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশী শক্তিশালী করতে পারেন।
১। জনসচেতনতা সৃষ্টি করার মাধ্যেমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
২। আমাদের চারপাশের ময়লা-আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে অথবা ডাস্টবিনে ফেলে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
৩। বাড়ির চারপাশে কিংবা রাস্তার পাশে গাছে লাগিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি।
৪। প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে এবং রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
৫। মোটরগাড়িতে চড়ার পরিবর্তে হেঁটে কিংবা সাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
৬। প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মধ্যামে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
৭। বৈদ্যুতিক কাজ শেষে বাতি কিংবা বৈদ্যুতিক ফ্যান বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ অপচয় রো্ধ করে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি।
৮। শব্দ, বায়ু, পানি, মাটি ইত্যাদির দূষণ থেকে পরিবেশ-কে রক্ষা করলে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যাবে।
৯। জীবাশ্ম জ্বালানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি।
১০। প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারর ও সুরক্ষা করার মাধ্যেমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা সম্ভব।
পরিশেষে, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে মানুষের ভুমিকা রাখতে হবে অন্যথায় আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বহুমুখি সমস্যার সম্মুখীন হবে। পূর্ব পরিকল্পনা আদুর ভবিষ্যতে সুফল বয়ে আনবে।