Search
Close this search box.

বায়োইনফরমেটিক্স কি? এর ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধা

বায়োইনফরমেটিক্স কি

বায়োইনফরমেটিক্স কি? জৈব তথ্যবিজ্ঞান তথা বায়োইনফরমেটিক্স এমন একটি কৌশল যেখানে ফলিত গণিত, তথ্যবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রসায়ন এবং জৈব রসায়ন ব্যবহার করে জীববিজ্ঞানের সমস্যাসমূহ সমাধান করা হয়। মূলত জীববিজ্ঞানের আণবিক পর্যায়ে গবেষণাই এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়।

কম্পিউটারকেন্দ্রিক জীববিজ্ঞান অনেক সময় সিস্টেম্‌স জীববিজ্ঞান-এর সমতুল্য হয়ে যায়। জীবতথ্যবিজ্ঞানের জগতে গবেষণার বিষয়বস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে সিকুয়েন্স অ্যালাইনমেন্ট, জিন অনুসন্ধান, জিনোম সমন্বয়, প্রোটিনের গাঠনিক অ্যালাইনমেন্ট, প্রোচিন গঠন ভবিষ্যদ্বাণী, জিন বহিঃপ্রকাশ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী, প্রোটিন-প্রোটিন মিথস্ক্রিয়া এবং বিবর্তনের নকশা প্রণয়ন। জীব সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজে কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রয়োগই হলো বায়োইনফরমেটিক্স।

বায়োইনফরমেটিক্স এর প্রধান কাজ কী?

বিভিন্ন জৈবিক বিশ্লেষণের ফলে অধিক পরিমাণে ডেটা পাওয়া যায় এবং এই ডেটাগুলো ম্যানুয়ালি বিশ্লেষণ করা খুব কঠিন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে সঠিক এবং দক্ষতার সাথে জৈবিক ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করতে বিভিন্ন গাণিতিক কৌশল ব্যবহার করা হয়। সুতরাং, বায়োইনফরমেটিক্স, জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমস্যা সমাধানের জন্য ডেটা সায়েন্সের ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

বায়োইনফরমেটিক্সে জীন তথা DNA সংক্রান্ত গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেটাগুলো ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তিতে কম্পিউটার বিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, গণিত এবং ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞানকে ব্যবহার করে এই ডেটাগুলো বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন বায়োলজিক্যাল সমস্যার সমাধান এবং নতুন টুলস তৈরি করা হয়।

বায়োইনফরমেটিক্সে ব্যবহৃত জৈবিক ডেটাসমূহ

  • ডিএনএ
  • জিন
  • এমিনো অ্যাসিড
  • নিউক্লিক অ্যাসিড ইত্যাদি

বায়োইনফরমেটিক্স এর জনক কে?

স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানী ডোনাল্ড নুথ (Donald Knuth) সর্বপ্রথম বায়োইনফরমেটিক্সের ধারণা দেন।

বায়োইনফরমেটিক্স এর উদ্দেশ্য

১। প্যাটার্ন রিকগনিশন, ডেটা মাইনিং, ভিজুয়ালাইজেশন ইত্যাদির সাহায্যে জৈবিক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুধাবন করা। অর্থাৎ জীন বিষয়ক তথ্যানুসন্ধান করে জ্ঞান তৈরি করা।

২। রোগ-বালাইয়ের কারণ হিসেবে জীনের প্রভাব সম্পর্কিত জ্ঞান আহরণ করা।

৩। ঔষধের গুণাগুণ উন্নত ও নতুন ঔষধ আবিষ্কারের প্রচেষ্টা করা।

বায়োইনফরমেটিক্স এর ব্যবহার

  • Microbial Genome (জিনোম সমাগম)
  • Molecular Medicine (মলিকুলার মেডিসিন)
  • Personalized Medicine (পার্সোনালাইজড মেডিসিন)
  • Preventive Medicine (প্রিভেন্টিভ মেডিসিন)
  • Gene Therapy (জিন থেরাপি)
  • Comparative studies (বিবর্তন শিক্ষা)
  • Climate Change studies ( আবহাওয়া পরিবর্তন শিক্ষা)
  • Biotechnology (বায়োটেকনোলজি)
  • Drug Development (ওষুধ উন্নয়ন)
  • Veterinary Science (ভেটেনারি বিজ্ঞান)
  • Agriculture (কৃষি)
  • Bio-weapon development (বায়ো-অস্ত্র উন্নয়ন)
আরও পড়ুন  চ্যাট জিপিটিতে আসছে Sora, এখন টেক্সট লিখলেই তৈরি হবে ভিডিও

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top