Search
Close this search box.

মার্কিন আদালতের আদেশে মুক্ত মাহমুদ খলিল, ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনের কর্মী ছিলেন অভিবাসন হেফাজতে

Mahmud Khalil

ফিলিস্তিনপন্থি অধিকারকর্মী ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন একটি মার্কিন ফেডারেল আদালত। শুক্রবার (২০ জুন) নিউ জার্সির একটি ফেডারেল আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন এবং একই দিন লুইজিয়ানার একটি কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, মাহমুদ খলিল ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেই আন্দোলনের জেরে গত মার্চে তাকে নিউইয়র্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবন থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)

যদিও খলিল যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে স্থায়ী বসবাস করছিলেন, তবু তাকে লুইজিয়ানার একটি আটক কেন্দ্রে বন্দি রাখা হয়। খলিল অভিযোগ করেন, তাকে রাজনৈতিক মতামতের কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, যা মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন

এর আগে, গত ১১ জুন নিউ জার্সির ডিস্ট্রিক্ট জাজ মাইকেল ফারবিয়ারজ এক আদেশে বলেন, খলিলকে আটক রেখে তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। কিন্তু ১৩ জুন আরেক বিচারক লুইজিয়ানার জেনার আটক কেন্দ্র থেকে তাকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানান।

ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি ছিল, খলিল তার আবাসনের আবেদনে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, ফলে আলাদা অভিযোগে তাকে আটক রাখা হয়।

তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে মুক্তি পেয়ে রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার এক নজির স্থাপন করলেন মাহমুদ খলিল।

আরও পড়ুন  রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন

আরো পড়ুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top